Risingbd:
2025-05-01@05:45:36 GMT

সুদীপ-পৃথার অসম বিয়ে ভেঙে গেল

Published: 6th, April 2025 GMT

সুদীপ-পৃথার অসম বিয়ে ভেঙে গেল

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা সুদীপ মুখার্জি। ৫৬ বছর বয়সি এই অভিনেতা হাঁটুর বয়সে নায়িকা পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এই দম্পতি খুব ভালো সময় পার করছিলেন। হঠাৎ দাম্পত্য জীবনে ছন্দপতন ঘটেছে, ভেঙে গেছে তাদের সংসার। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন পৃথা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আমরা আজীবন বন্ধু হয়ে থাকব।” 

এ বিষয়ে কথা বলতে সুদীপ মুখার্জির সঙ্গে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে। শুটিং সেট থেকে এ অভিনেতা বলেন, “আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত। বিন্দুবিসর্গ বুঝতে পারছি না। পৃথা এটা কী করেছে, তা আমি নিজেই জানি না!” 

আরো পড়ুন:

বাড়ি ফিরে এখনো কেঁদে ফেলি: ঋতুপর্ণা

নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখছে মহেশ বাবুর কন্যা?

সুদীপ মুখার্জিও তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ডিটাচমেন্ট’ বা ‘হতে দাও’ এমন বাক্য লিখেছেন। এসবের অর্থ কী জানতে চাইলে সুদীপ বলেন, “সমস্যা সকলের জীবনেই কমবেশি থাকে। আমারও আছে। এই নিয়ে বেশি কিছু বলা মানায় না।” পাশাপাশি এও জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে তারা এখনো এক ছাদের নিচে আছেন!

সুদীপ মুখার্জি প্রথম সংসার বাঁধেন অভিনেত্রী দামিনি বেণী বসুর সঙ্গে। এ সংসার ভাঙার পর পৃথার সঙ্গে ঘর বাঁধেন। কিন্তু এই জার্নি সহজ ছিল না। আপত্তি জানিয়েছিলেন পৃথার বাবা-মা। কারণ পৃথার এটি প্রথম বিয়ে।

তা ছাড়া সুদীপ মুখার্জি ও পৃথার বয়সের পার্থক্য ২৪ বছরের। তাই অসম এই বিয়ে নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্যও করেছিলেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন—সুদীপের টাকা দেখে বিয়ে করেছেন পৃথা। এ বিষয়ে পৃথা বলেছিলেন— “কোনো অল্প বয়সি পুরুষের মধ্যে মনের মানুষকে খুঁজে পাইনি। আর সুদীপের টাকা থাকলেও, আমি টাকার জন্য ওকে বিয়ে করিনি।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ