গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ‘তিতুমীরস ভয়েস ফর প্যালেস্টাইন’ শীর্ষক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৬ এপ্রিল) কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’র পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং কলেজের মূল ফটকে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

গাজাবাসীর উপর চালানো নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে তারা গভীর ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই হামলা গোটা মানবতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

তিতুমীর ঐক্যের দায়িত্বশীলরা বলেন, আজ ফিলিস্তিন রক্তে রঞ্জিত। আগ্রাসনে শিশুদের আর্তনাদ, মায়েদের কান্না আর ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া স্বপ্নগুলো আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।

তারা আরো বলেন, প্রতিবাদ শুধু একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার নয়, এটি বিবেকের জাগরণ। নিরব থাকা এখন আর বিকল্প নয়, এটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা। শিক্ষার্থীদের এই মানবিক কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ