রাতে থানায় গালাগাল পরদিনই মিলল জামিন
Published: 6th, April 2025 GMT
এক আসামিকে ছাড়াতে এসে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় তুলকালাম ঘটিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের দুই নেতা। শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় এসে পুলিশ সদস্যদের গালাগালি ও অসদাচরণ করেন তারা। পরে তাদের আটক করে পুলিশ। এ সংবাদ প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় যুবদল থেকে গতকাল রোববার বিকেলে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও এদিন দুপুরেই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান তারা।
ওই দুই ব্যক্তি হলেন– সিংগাইর পৌর যুবদলের সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৯ মার্চের একটি মারামারি মামলায় পুলিশ শনিবার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে ছাড়াতে রাত ৯টার দিকে মদ্যপ অবস্থায় থানায় যান শফিকুল ইসলাম জীবন ও শফিকুল ইসলাম। তারা আরিফকে ছেড়ে দিতে বললে পুলিশ রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালাগালি শুরু করেন। এ সময় তাদের আটক করে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের পাকস্থলী থেকে অ্যালকোহল পরিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে সমকাল অনলাইনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন রোববার ওই দু’জনকে বহিষ্কার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দীপু সমকালকে বলেন, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে শফিকুল ইসলাম জীবন ও শফিকুল ইসলামের প্রাথমিক সদস্য পদসহ বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, মদ্যপ অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তি থানায় এসেছিলেন। তারা এজাহারভুক্ত এক আসামিকে ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজও করেন। শনিবার রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ষ ক র কর য বদল র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।