এ বছর পবিত্র হজের আগে যাঁরা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন, তাঁদের অবশ্যই ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সে দেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরব ছাড়ার শেষ দিন ২৯ এপ্রিল। সেদিন সৌদি আরবে জিলকদ মাসের ১ তারিখ। সেদিনের পর থেকে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বার্ষিক হজের প্রস্তুতি নেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে প্রবেশের শেষ দিন ১৩ এপ্রিল (সৌদি আরবে ১৫ শাওয়াল)। ওই দিনের পর হজের আগে আর কেউ ওমরাহ পালন করতে দেশটিতে যেতে পারবেন না।

এতে বলা হয়, ২৯ এপ্রিলের পর ওমরাহ যাত্রীদের কেউ যদি সৌদি আরবে অবস্থান করেন, তবে তিনি দেশটির ভিসা আইন ও হজের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন বলে বিবেচনা করা হবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব ব্যক্তি ও কোম্পানি ওমরাহ পরিষেবা প্রদান করে, তাদের কেউ যদি নিয়ম লঙ্ঘন করে, তবে শাস্তি হিসেবে তাদের সর্বোচ্চ এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা এবং সঙ্গে সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

তাই সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়ার এবং এ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নিয়মকানুন সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে সৌদি আরব বলছে, অতিরিক্ত সময় অবস্থানকারী ওমরাহ যাত্রীরা এ বিষয়ে জানাতে ব্যর্থ হলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে।

আরও পড়ুনওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে নতুন আইন১৬ এপ্রিল ২০২৪

হজ যাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে, নিরাপত্তা দিতে এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বছর ধরেই সৌদি আরব হজের আগে বিদেশি ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে।

হজের সময় সারা বিশ্ব থেকে কয়েক লাখ মুসল্লি হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওমর হ য ত র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ