ওমরাহ পালনকারীদের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি আরব ছাড়তে হবে
Published: 8th, April 2025 GMT
এ বছর পবিত্র হজের আগে যাঁরা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন, তাঁদের অবশ্যই ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সে দেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরব ছাড়ার শেষ দিন ২৯ এপ্রিল। সেদিন সৌদি আরবে জিলকদ মাসের ১ তারিখ। সেদিনের পর থেকে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বার্ষিক হজের প্রস্তুতি নেবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে প্রবেশের শেষ দিন ১৩ এপ্রিল (সৌদি আরবে ১৫ শাওয়াল)। ওই দিনের পর হজের আগে আর কেউ ওমরাহ পালন করতে দেশটিতে যেতে পারবেন না।
এতে বলা হয়, ২৯ এপ্রিলের পর ওমরাহ যাত্রীদের কেউ যদি সৌদি আরবে অবস্থান করেন, তবে তিনি দেশটির ভিসা আইন ও হজের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন বলে বিবেচনা করা হবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব ব্যক্তি ও কোম্পানি ওমরাহ পরিষেবা প্রদান করে, তাদের কেউ যদি নিয়ম লঙ্ঘন করে, তবে শাস্তি হিসেবে তাদের সর্বোচ্চ এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা এবং সঙ্গে সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
তাই সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়ার এবং এ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নিয়মকানুন সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে সৌদি আরব বলছে, অতিরিক্ত সময় অবস্থানকারী ওমরাহ যাত্রীরা এ বিষয়ে জানাতে ব্যর্থ হলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুনওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে নতুন আইন১৬ এপ্রিল ২০২৪হজ যাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে, নিরাপত্তা দিতে এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বছর ধরেই সৌদি আরব হজের আগে বিদেশি ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে।
হজের সময় সারা বিশ্ব থেকে কয়েক লাখ মুসল্লি হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওমর হ য ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে
পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন।
মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত।
এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’
ঢাকা/শাহীন//