প্রধান আসামির জামিন বাতিল করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 10th, April 2025 GMT
বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
দাসেরহাট বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান মোল্লা বলেন, একাধিক মামলার আসামি বাবু জামিনে এসে আবারও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার দখলের পাঁয়তারা করছেন। সাধুরপাড়া ইউনিয়নে কোনো খুনি, সন্ত্রাসী থাকবে না। তাঁকে সাধুরপাড়ার জনগণ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে এলাকাবাসী তাঁকে প্রতিহত করবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটি এলাকায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুন ২২ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু কয়েক মাস আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
গত বছরের ২৭ আগস্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অভিযুক্তরা হলেন– প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, রাকিবিল্লাহ রাকিব, রেজাউল করিম, শরিফ মিয়া, মনিরুজ্জামান মনির, বাদশা মিয়া, মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের সহজে ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব
ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকদের কাছে সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়া বলে উল্লেখ করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।
তিনি বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হলো জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা বাস্তবায়ন করা, যাতে সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনে সকল ভূমিসংক্রান্ত সেবা নিতে পারেন।”
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কম্পিউটার ল্যাবে ‘মানোন্নীত অটোমেটেড ভূমিসেবা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
রংপুর বিভাগের চারটি জেলা-রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম-এবং খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থেকে কম্পিউটার অপারেটর পর্যায় পর্যন্ত) এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প।
সিনিয়র সচিব বলেন, “বাংলাদেশের ভূমিসেবা এখন প্রায় সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল রূপ নিয়েছে। নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্রসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনলাইন সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে নতুন কেন্দ্র স্থাপনও চলছে। তবে শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, বরং জনসচেতনতা, সেবাদাতাদের আন্তরিকতা এবং দক্ষ জনবলের সমন্বয়ই ভূমিসেবা ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করবে।”
তিনি আরো বলেন, “এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়ানো, যাতে তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এতে জ্ঞান দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, এবং প্রশাসনের সব স্তরে অটোমেটেড সেবার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত হবে।”
সিনিয়র সচিব মনে করেন, “প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তারা শুধু প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা অর্জন করবেন না, বরং ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের কৌশলও শিখবেন। এতে নাগরিক ভোগান্তি কমবে, সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।
ঢাকা/এএএম/এসবি