পুলিশের এএসআই ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে শেরপুর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার শহরের সজবরখিলা মহল্লায় সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, তাঁর ব্যবসায় আর্থিক সংকট দেখা দিলে গৌরিপুর মহল্লার বাসিন্দা পুলিশ কর্মকর্তা এনামুল কবির ওরফে তোতা ও তাঁর স্ত্রী সদর উপজেলার চৈতাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীমা আক্তার শিল্পীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা সুদে ধার করেন। চুক্তি হয় প্রতি মাসে সুদ দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। কয়েক মাস সুদের টাকা পরিশোধও করেন। এর মধ্যে শামীমা খাতুন শিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন বলে টাকা ফেরত চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন সাক্ষী রেখে তিনি ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এএসআই এনামুল কবিরকে বুঝিয়ে দেন। এ ঘটনার কয়েক দিন পর গত ৬ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে ৩-৪ জন সন্ত্রাসীসহ এনামুল কবীর ফের তাঁর দোকানে যান এবং তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি এবং মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেকে অপহরণ করবেন বলে ঘোষণা দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আতঙ্কিত হয়ে গত ৮ এপ্রিল আদালতে এএসআই এনামুল কবীরকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাজাহানপুর থানায় কর্মরত এএসআই এনামুল কবীর তোতার সঙ্গে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, হারুনর রশিদের সঙ্গে তাঁর কোনো লেনদেন হয়নি। তাঁর স্ত্রী শিল্পীর কাছ থেকে হাওলাত নেওয়া টাকা পরিশোধ করেননি। এখন টাকা না দিয়ে তাঁকে অসম্মান করার জন্য নানা ফন্দিফিকির করছেন।

শামীমা আক্তার শিল্পীর অভিযোগ, পূর্ব পরিচয় থাকার কারণে হারুনের বিপদে সহায়তা করতে তাঁকে টাকা ধার দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাঁর স্বামীর সম্মান নষ্ট করছেন। তিনি বলেন, তাঁর কাছে হারুনের স্বাক্ষর করা চেক ও স্ট্যাম্প রয়েছে। তিনি দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসআই

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ