Samakal:
2025-11-03@19:17:01 GMT

বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র

Published: 10th, April 2025 GMT

বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র

বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র! ৬৭ বছরের বলিউড অভিনেতা সানি দেওলের ‘ঢায় কিলো কা হাতে’ পড়ুন [আড়াই কেজি ওজনের হাতের] ম্যাজিক যে এখনও অক্ষত, তা কখনও পর্দায় টিউবঅয়েল, কখনও ল্যাম্পপোস্ট তুলে হুঙ্কার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবার নতুন ছবিতে বিশাল আকারের সিলিং ফ্যান হাতে ধরা দেবেন সানি দেওল। ২০২৩ সালে বক্স অফিসে ‘গাদ্দার ২’ সিনেমার মাধ্যমে সানি তাঁর চলচ্চিত্র জীবনকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা করা ছবি উপহার দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে বর্তমানে অভিনয়েই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। এবার ‘জাত’ সিনেমায় রবিনহুড রূপে ধরা দিলেন সানি দেওল।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার। এতে দেখা গেল সানির সঙ্গে সম্মুখ সমরে রণদীপ হুদা। ‘জাট’ সিনেমায় খলনায়ক রণতুঙ্গার চরিত্রে দেখা যাবে রণদীপকে; যার অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। বলা ভালো, গ্রামকে শ্মশানে পরিণত করেছে সে। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে রবিনহুডের মতো সেই গ্রামে হাজির হন সানি। যেমন অ্যাকশন, তেমনই সংলাপ। ‘জাত’ ট্রেলারে স্পষ্ট, বলিউডের ‘গাদ্দার ২’-এর থেকেও দক্ষিণী পরিচালকের হাত ধরে দুরন্ত অ্যাকশন ছবি উপহার দিতে চলেছেন সানি। এখন পর্যন্ত একাধিক বলিউড তারকা দক্ষিণমুখো হয়েছেন কিংবা দক্ষিণী পরিচালকের হাত ধরে ব্লকবাস্টার প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। এবার দেখার পালা, সানি কী করেন। এর আগে একাধিক গণমাধ্যমে সানির বাবা বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘বলিউড দেওলদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়নি।’ ফলে ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সানি দেওল বললেন, ‘বলিউডকে মনে করিয়ে দিলেন, শেষমেশ সিনেমায় আমাদের কাজের কদর করছে। এটিই সময়। অনেক বছর অপেক্ষা করেছি। আমাদের পরিবারের আসলে স্বীকৃতি পেতে বরাবরই দেরি হয়। ওই কথায় বলে না, কর্ম করে যাও, ফলের আশা না করে। লড়ে যাও, থেমো না।’ 

এবার আর টিউবঅয়েল কিংবা হাতুড়ি নয়, সানি দেওলের ‘ঢায় কিলো কা হাতে’ এবার দেখা গেল রাক্ষুসে এক লোহার পাখা। অবশ্য যেটি তাঁর শত্রুদমনের অস্ত্র হিসেবে দেখা যাবে পর্দায়। ৬৭ বছরের সানি দেওলের এই ছবিও যে ভরপুর অ্যাকশন-প্যাকড সিনেমা হতে চলেছে, তা প্রথম দেখায় বেশ আন্দাজ করা গেল। ‘জাত’ পরিচালনা করেছেন তেলেগু পরিচালক গোপীচাঁদ মালিনেনি এবং প্রযোজনায় মাইথেরি মুভি মেকারস। সানি দেওল, রণদীপ হুডা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিনীত কুমার সিং, সায়ামি খের, রেজিনা কাসান্দ্রার মতো অভিনেতারা। 

ছবির ট্রেলার দেখে দর্শক যতই খুশি হোক না কেন, ছবির নাম নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ছবির ‘ও রাম শ্রীরাম’ গানটি। এবার সব বিতর্কের অবসান ঘটাতে সিনেমাটি নিয়ে বলেছেন দুই অভিনেতা সানি দেওল ও রণদীপ হুডা। ছবির প্রচারে গিয়ে সানি বলেছেন, ‘জাত কোনো ধর্মীয় উস্কানিমূলক ছবি নয়, দয়া করে এর গায়ে ধর্মীয় তকমা সেঁটে দেবেন না। ছবিটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক। আমরা চাই দর্শকরা ছবিটা উপভোগ করুক, এর বেশি কিছু নয়। আমরা সব ধর্মকেই ভালোবাসি। একজন অভিনেতা হিসেবে ছবির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সামনে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করি আমরা। তাই দেশের সম্মান খর্ব হবে এমন কোনো বিষয় আমাদের ছবিতে দেখাতে চাই না। ছবির মাধ্যমে আমরা কোনো ধর্মীয় বার্তা দিতে চাই না।’ তাঁর কথার সূত্র ধরে ছবির আরেক অভিনেতা রণদীপ হুডা বলেন, ‘‘আপনারা সবাই ছবির ‘জাত’ নাম নিয়ে কৌতূহলী। ছবিতে জাত আসলে কী, একটা সম্প্রদায় নাকি এজেন্ট নাকি কোনো ব্যক্তি, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ছবিতে এবং সেই কারণে আপনাদের ছবিটা দেখার অনুরোধ করব।’’ আগামীকাল সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।  

১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন সানি দেওল। এরপর ২০০০ সালে তাঁর ‘গাদ্দার,’ বক্স অফিসে ঝড় তুলে দিয়েছিল। তবে ৪০ বছরের সিনেমাযাত্রায় এর আগে ‘গাদ্দার ২’ সিনেমার মতো বড় হিট দিতে পারেননি সানি দেওল। তারপর থেকে নিজের ‘দাম বাড়িয়েছেন’ এই অভিনেতা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গাদ্দার ২’ সানি দেওলের ক্যারিয়ারে মাইলস্টোন হওয়ার পর ‘জাত’ কেমন ব্যবসা করে, নজর থাকবে সেদিকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত

বাংলাদেশের মেকআপ আর্ট জগতে নীরবে নতুনত্ব যোগ করে যাচ্ছেন সোনালী মিতুয়া। তার শৈল্পিক ইলিউশন এবং বডি পেইন্টিংগুলো আন্তর্জাতিক মানের, যা দেখে চোখ ফেরানো দায়। বর্তমানে ফিনল্যান্ডে মেকআপের ওপর উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন এই শিল্পী, যার ক্যানভাসে শৈশবের প্রথম গন্ধ ছিল তেল রং আর থিনারের তীব্রতা। মেকআপ ব্যবহার করে তিনি যে ক্যানভাস তৈরি করেন-তা এক কথায় অনন্য, অসাধারণ। 

সোনালী মিতুয়া কখনও তার মুখে ফুটে ওঠে ফাটল ধরা পৃথিবী, যেখান থেকে গজিয়ে ওঠে সবুজ লতা। কখনও দেখা যায় তার মুখটাই এক অর্ধেক যন্ত্র, অর্ধেক প্রকৃতি, যেন মানুষ আর মেশিনের মাঝের এক অদ্ভুত, কাব্যময় দ্বন্দ্ব।আর কখনও সেই মুখটাই অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, শুধু দেখা যায় এক ভয়ঙ্কর কালো গহ্বর — যেন মানুষের শূন্য আত্মা। এগুলো কোনো সিনেমার দৃশ্য না।এগুলো এক তরুণী মেকআপ আর্টিস্টের সৃষ্ট জীবন্ত শিল্পকর্ম।

আরো পড়ুন:

একা বাস করতে পারে যে পাখি

কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?

সোনালী মিতুয়ার মেকআপে একটা গল্প, একটা দর্শন, একটা গভীর বার্তা লুকিয়ে থাকে। যেখানে অধিকাংশ মানুষ মেকআপকে শুধু প্রসাধনের জগতে দেখে, সে সেখানে মেকআপকে তুলেছে এক উচ্চমাত্রার শিল্প হিসেবে। তার হাতে রঙ মানে—চামড়ার ওপরে নয়, বরং আত্মার ভাষা প্রকাশের এক মাধ্যম।

তার কাজে দেখা যায় প্রস্থেটিক মেকআপের প্রভাব— যেখানে মুখ বদলে যায়, গড়ে ওঠে নতুন রূপ, নতুন চরিত্র। এমন কৌশল একদিন তাকে সিনেমার পর্দায় প্রস্থেটিক আর্টিস্ট হিসেবে বড় জায়গায় নিয়ে যাবে—
এ কথা বলার জন্য বিশেষজ্ঞও হতে হয় না। 

এই মেয়েটির সবচেয়ে বড় শক্তি তার কল্পনাশক্তি। সে মুখের ভেতরেই ফুটিয়ে তোলে গল্প—একদিকে প্রকৃতি, ফুল, প্রজাপতি; অন্যদিকে প্রযুক্তি, ধ্বংস আর শূন্যতা। দেখলে মনে হয়, এই দুইয়ের টানাপোড়েনেই গড়ে উঠেছে তার শিল্পজগৎ।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এই মেয়েটি এক অনুপ্রেরণা। সে প্রমাণ করছে—শিল্পের ভাষা যদি শক্ত হয়, তাহলে দেশের সীমা পেরিয়ে বিশ্বেও পৌঁছানো যায়। যেখানে মেকআপকে এখনো অনেকেই কেবল সাজের কাজ মনে করেন, এই মেয়েটি সেখানে দেখিয়েছে — মেকআপও হতে পারে দর্শন, প্রতিবাদ আর সৃষ্টির ক্যানভাস। 

তিনি জানেন,  প্রস্থেটিক আর্টে (বিশেষত কৃত্রিম অঙ্গ, ক্ষত বা ফ্যান্টাসি চরিত্র তৈরি) করা যায় দক্ষতার সাথে।  বর্তমানে বাংলাদেশের সিনেমায় যেখানে প্রস্থেটিকের ব্যবহার খুবই সীমিত, সেখানে সোনালী মিতুয়ার মতো একজন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পী আছেন, তার হাতেই তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসের চরিত্রদের নিখুঁত রূপ, অথবা আমাদের ফ্যান্টাসি সিনেমার ভিনগ্রহের প্রাণী।

সোনালী মিতুয়ার কাজগুলো দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মেকআপকে স্রেফ সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যম হিসেবে দেখেন না, বরং এটিকে একটি শক্তিশালী গল্প বলার হাতিয়ার মনে করেন। 

একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ প্রকৃতির মাঝে ফাটল ধরা পাথরের মতো এক রূপ ধারণ করেছেন। সবুজ, হলুদ ও লালের মিশ্রণে চোখের অংশটি গভীর এবং রহস্যময়, আর ফাটলের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসা লতা-পাতা জীবনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি তার পরিবেশ-সচেতনতা এবং ফ্যান্টাসি আর্টের দক্ষতা প্রমাণ করে।

সাদাকালো স্কেচের মতো দেখতে এই মেকআপটি অত্যন্ত কঠিন এবং চোখে পড়ার মতো। মুখের প্রতিটি অংশে পেন্সিল বা চারকোল দিয়ে আঁকা হ্যাচিংয়ের মতো স্ট্রোকগুলো ত্রিমাত্রিক চেহারাটিকে দ্বিমাত্রিক কমিক-বুক বা নয়ার চলচ্চিত্রের চরিত্র হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে।

চোখ ও মুখের চারপাশে মাকড়সার জাল এবং ফুলা, রক্তবর্ণ চোখের পাপড়ি ভীতি ও কষ্টের এক শক্তিশালী অনুভূতি জাগায়। এটি বিশেষ করে হ্যালোইন বা হরর থিমের জন্য পারফেক্ট।

গভীর অন্ধকারে তোলা এই ছবিটি ‘অন্ধকার গহ্বর’ বা ‘কৃষ্ঞগহ্বর’ থিমের একটি চমকপ্রদ ইলিউশন মেকআপ। নিখুঁত কনট্যুরিং এবং রঙের ব্যবহারে মুখের এক অংশে যেন সত্যিই একটি ফাঁকা, গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল
  • প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত