মেয়েদের ওয়ানডে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন নিগার সুলতানা। লাহোরে আজ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে  ৭৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। নিগারের ৮০ বলে ১০১ রানের ইনিংস এবং শারমিন আক্তারের অপরাজিত ৯৪ রানে ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭১ রান করেছে বাংলাদেশ।

সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে  পাওয়া সেঞ্চুরিটি এই সংস্করণে নিগারের প্রথম ও বাংলাদেশের তৃতীয়। আগের দুটি সেঞ্চুরিই ফারজানা হকের।  ২০২৩ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ফারজানা হক, সেটিই এত দিন মেয়েদের ওয়ানডে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল। তাঁকে পেছনে ফেলে আজ মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন নিগার। মেয়েদের ওয়ানডেতে ৪৫ বলে সেঞ্চুরির  বিশ্ব রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি মেগ ল্যানিংয়ের। ২০১২ সালে নর্থ সিডনি ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ডটি গড়েন ল্যানিং।

আজ দলীয় সংগ্রহেও নিজেদের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। গত বছর নভেম্বরে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৫২ ছিল এত দিন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তা পেছনে ফেলে বাংলাদেশের মেয়েরা নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনজন ব্যাটারের ইনিংসে ভর করে।

ওপেনার ফারজানার ব্যাট থেকে এসেছে ৮২ বলে ৫৩। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আরেক ওপেনার ইশমা তানজিম (৮) আউট হওয়ার পর ২৮তম ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নেন ফারজানা ও শারমিন। ২৭.

১ ওভারে ফারজানা আউট হওয়ার পর ৫০তম ওভারের শেষ বলে গিয়ে আউট হন নিগার। ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। শারমিনের ইনিংসে রয়েছে ১১টি চারের মার।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ততম স ঞ চ র র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

‘সানসিরোর ম্যাচটাই হবে অলিখিত ফাইনাল’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচের শুরুতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কাতালান ক্লাবটি। তবে দ্বিতীয় লেগে সানসিরোতে কাজটা সহজ দেখছেন না বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। বরং সেটিকে ‘ফাইনালের আগের আরেকটি ফাইনাল’ বলেই বিবেচনা করছেন এই জার্মান কোচ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেন, ‘আমরা ভালোভাবে শুরু করিনি, দ্রুত দুটি গোল খেয়ে বসেছিলাম। কিন্তু দারুণভাবে ফিরে এসেছি এবং দ্বিতীয়ার্ধে আমরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলাম। এটা ছিল এক দুর্দান্ত ম্যাচ, বিশেষ করে দর্শকদের জন্য।’

ফ্লিক আরও বলেন, ‘মিলানের ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের জিততেই হবে। এটা যেন আরেকটি ফাইনাল। আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে চাই এবং আশা করি ৯০ মিনিটই যথেষ্ট হবে ফাইনালে ওঠার জন্য।’

প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানের শক্তি ও অভিজ্ঞতা নিয়েও সতর্ক বার্সা কোচ, ‘ইন্টার অভিজ্ঞ দল। তারা সেট পিস থেকে আমাদের বিপদে ফেলেছে। লম্বা-দেহী ও বিপজ্জনক খেলোয়াড় রয়েছে তাদের দলে। তবে আমি আমার দলের মানসিকতা নিয়ে গর্বিত।’

১৭ বছর বয়সী লামিন ইয়ামালের প্রশংসায় ভাসান ফ্লিক। ম্যাচে এক গোল, এক অ্যাসিস্ট এবং এক আত্মঘাতী গোলে অবদান রাখার পর তাকে নিয়ে বলেন, ‘সে আমাদের পথ দেখিয়েছে। আজকের পারফরম্যান্সে তার অসাধারণতা স্পষ্ট। ইনজাঘির মতো আমিও বিশ্বাস করি, এ ধরনের খেলোয়াড় ৫০ বছরেও একবার আসে।’

ইন্টারের ঘরের মাঠ সানসিরোতে ৬ মে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। তার আগেই যুদ্ধের প্রস্তুতি সারছে বার্সেলোনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ