রাজবাড়ীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ২
Published: 10th, April 2025 GMT
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তসুলতানাপুর ইউনিয়নের কৈজুরি গ্রামের ওহিদুল ইসলাম ও পার্শ্ববর্তী বানিয়য়ারি গ্রামের হাফিজ মোল্লার সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-বৈঠক হলেও মীমাংসা হয়নি। গত ৬ এপ্রিল দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ছয়জন আহত হন। রেহাই পাননি ৯৫ বছরের বৃদ্ধও।
ওহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় আলাউদ্দিন ফকিরের কাছ থেকে ১৯৯৬ সালে তিনি ১০ শতাংশ জমি কিনেন। এর কয়েক বছর পর তার জমির পাশে দুই শতাংশ জমি কিনেন হাফিজ মোল্লা। কিন্তু তিনি ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ জমিতে ঘর নির্মাণ করেন। এটি নিয়ে হাফিজ মোল্লার সঙ্গে তাদের বিরোধ।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে নিজ জমিতে দোকান নির্মাণ করতে গেলে হাফিজ মোল্লা লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলাও হয়। বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল ওহিদুলের ৯৫ বছরের বাবা খোরশেদ আলম দোকানে ছিলেন। হঠাৎ হাফিজ মোল্লা লোকজন নিয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার তিন ভাই মিজানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম এগিয়ে তার বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
ওই সময় তারা প্রতিহত করতে গেলে হাফিজের পক্ষের দু’জন আহত হন বলে জানান ওহিদুল।
তিনি আরও জানান, তার আহত বাবা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ও ভাই মিজানুর রহমান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। তারা সবাই চিকিৎসা নিয়ে যখন ব্যস্ত এ সুযোগে পরদিন ৭ এপ্রিল তাদের দোকানটি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় তিনি রাজবাড়ী সদর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে হাফিজ মোল্লা জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে তিনি ১৪ শতাংশ জমি কিনে বিদেশ চলে যান। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করেননি। এই সুযোগে ওই জমির ১০ শতাংশ কিনেন তার প্রতিপক্ষ। তিনি ফিরে এসে বাকি চার শতাংশ দাবি করেন। কিন্তু ওরা এই চার শতাংশ দিতে নারাজ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন তিনি ও তার ছেলে সেখানে ছিলেন। তাদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। তাদের কারা কুপিয়েছে ও কারা দোকান ভেঙেছে তা তিনি জানেন না।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, কোনটা বিভেদ, খেয়াল রাখতে হবে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মানুষের অন্তরের পরিবর্তন দরকার।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন আবদুল মঈন খান। ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতার আয়োজন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বলা হচ্ছে সংবিধানের কিছু পরিবর্তন হবে, কিন্তু আমি বলব, পুরো সংবিধান পাল্টে দিলেও যারা সংবিধান তৈরি ও পালন করে, এ দেশের জনগণের অন্তরের পরিবর্তন না হলে কোনো লাভ হবে না। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়। কোনটা বিভেদ, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ১৬শ হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৬শ মামলা হওয়া উচিত ছিল।’ এ প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি আইনজ্ঞ না হয়েও বলছি, যদি ১৬শ মামলা হয়, তাহলে আধুনিক বিচারব্যবস্থায় এসব মামলার বিচার হতে ১৬শ বছর লাগবে। বরং বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারের জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট। আর কোনো সৎ সাহসী সরকার হলে ১৬ ঘণ্টায় এই বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব।’
চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও মানুষের আকাঙ্ক্ষা কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা বলছি, আমি প্রশ্ন করতে চাই, যে প্রত্যাশা নিয়ে চব্বিশের জুলাই–আগস্ট এসেছিল, আজকের জুলাই–আগস্টে তার কতটা পূরণ হয়েছে? দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের সময়ে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সেটা কি পূরণ হয়েছে? কেন আমাদের উত্তরণ হয়নি, সেই প্রশ্ন করতে হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কথা সবাই বললেও কেউ শহীদদের ধারণ করছে না বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গল্প অনেকটা একাত্তরের গল্পের মতো হয়ে যাচ্ছে। সবাই বলছে, কিন্তু শহীদদের কেউ ধারণ করছে না। এসব চিহ্ন দেখলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে নতুন বন্দোবস্ত হচ্ছে না। বরং আমরা পুরোনো ধারায় থেকে যাব। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো শহীদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল।’
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতায় বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শনিবার সকালে