ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বরতম ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হকের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো.

কামাল উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

দেশের প্রথম জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস ‘দেয়াঙ কেল্লা’

৪৫ হাজার রোজাদারকে ইফতার করিয়েছে চবি শিবির

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আজ আমাদের একটাই এজেন্ডা, গাজাবাসিকে রক্ষা করা। আমাদের প্রতিবাদ তাদের বিরুদ্ধে, যারা নিয়মিতভাবে মানবতা লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ শিশু, বৃদ্ধা, নারীদের নৃশংসভাবে হত্যা করছে। আরব বিশ্ব রাজনৈতিক কারণে মানবতার পক্ষে কথা বলছে না। জায়োনিস্টরা জ্ঞানের জায়গায় বিচরণ করছে। জ্ঞান বিজ্ঞানের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে হবে।”

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “আমরা ছাত্রজীবন থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন মিছিল করছি। কিন্তু কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারিনি। মানব সভ্যতায় এমন হত্যা পৃথিবীর আর কোথায় ঘটেনি। পৃথিবীর ১৪৮টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও জাতিসংঘ কেনো দিচ্ছে না? আরব লীগ, ইসলামী সহযোগী সংস্থাকে (ওআইসি) দ্রুত ফিলিস্তিনের পক্ষে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যত্থায় এসব সংস্থা ভেঙ্গে দিতে হবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, “গাজায় যে আক্রমণ হচ্ছে, তা আমরা বাল্যকাল থেকে দেখে আসছি। আন্তর্জাতিক মহল সব বিষয়ে সরব থাকলেও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে তারা নিরব কেনো? জ্ঞান বিজ্ঞানের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে শক্তিশালী জনসম্পদ তৈরি করতে হবে। পুরো পৃথিবী থেকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে। মানবতাবিরোধী কাজ যেখানেই হবে, সেখানেই আমরা প্রতিবাদ করব।”

সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ উপ চ র য ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ