প্রতিবেশী দেশেও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, প্রতিবাদ করতে চাই: মির্জা আব্বাস
Published: 10th, April 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শুধু ইসরায়েলে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশেও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমরা সেটার প্রতিবাদ করি না। আমার রাষ্ট্র প্রতিবাদ করে না, আমরাও প্রতিবাদ করি না। আমরা এটার প্রতিবাদ করতে চাই।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের মুসলমানদের ওপর যেখানে অত্যচার হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এক প্রতিবাদ সভা ও সংহতি র্যালির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনে যে অত্যাচার হচ্ছে, নারকীয় ঘটনা ঘটছে, তা দেখে আমরা ভাবতে পারি এটা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনকে নিধন করার চক্রান্ত হচ্ছে বা করছে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। ওরা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একসময় নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ইরাক–ইরান যুদ্ধ বন্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হস্তক্ষেপের বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে এমন ভূমিকা নিতেন যে ইসরায়েল এমন অপকর্ম করার সাহস পেত না। বাংলাদেশে এখন এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি বলেও মনে করেন মির্জা আব্বাস।
জাতিসংঘকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইসরায়েলের অত্যাচার চলতেই থাকবে। একে একে তারা মুসলমান রাষ্ট্রগুলো ধ্বংস করে দেবে। মুসলমানদের সারা বিশ্বের কোথাও টিকতে দেবে না।
আরও পড়ুনমুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ম সলম ন ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’