যাঁর নামে মেসির নাম, তাঁর সঙ্গে মেসির দেখা
Published: 14th, April 2025 GMT
ছবির ক্যাপশনেও গল্পটা লুকিয়ে আছে। যে ক্যাপশনে লেখা: ‘যখন লিওনেলের সঙ্গে লিওনেলের দেখা। ওর মা আমার নামে ওর নাম রেখেছিলেন... আর আজ আমাদের দেখা হলো। এত বছর পর দেখা হয়ে ভালো লাগল।’
ছবিটা ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন এক ‘লিওনেল’, যাঁকে পৃথিবী চেয়ে লিওনেল রিচি নামে। আর ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেক ‘লিওনেল’কে, যিনি এ পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিত লিওনেল মেসি নামে।
একজন সংগীতের রাজা। অন্যজন ফুটবলের রাজপুত্র। একজন আশি ও নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক-গীতিকার, অন্যজন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। একজন সুরের জাদুকর, অন্যজন ফুটবলের।
ফ্লোরিডার সময় গত বুধবার সন্ধ্যায়, ইন্টার মায়ামির চেজ স্টেডিয়ামে সেদিন কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে মেসির দলের প্রতিপক্ষ ছিল এলএএফসি। যে ম্যাচে এলএএফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। জোড়া গোল করে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল মেসির। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের টানেলে ইন্টার মায়ামির নায়কের সঙ্গে দেখা হয় ‘দ্য কমোডোরস’ ব্যান্ডের একসময়ের নেতার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলান ‘হ্যালো’, ‘এন্ডলেস লাভ’ ও ‘অল নাইট লং’–এর মতো বিখ্যাত সব গানের গায়ক।
লিওনেল রিচির সঙ্গে লিওনেল মেসি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
কুমিল্লায় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, “গত দুইদিনে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার আরো একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।”
তিনি বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কুমিল্লা নগরের, কেউ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। সবার নমুনা কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে আরো ১ জনের করোনা শনাক্ত
কিট সংকটে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ
ডা. বশির আহমেদ বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। দুইজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
করোনার প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন কুমিল্লায় নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন নগরবাসী। হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মাস্ক পরছেন এবং সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছেন। তবে, গণপরিবহন, বাজার কিংবা ওষুধের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি।
কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন, “আবার যেন সেই দিনগুলো ফিরে আসছে। দোকান-বাজারে মাস্ক ছাড়া মানুষ চলাফেরা করছে। আমরা তো আরেক দফা লকডাউনের ভয়ে আছি।”
সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রচার অভিযান চালানো হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডাক্তার সানজিদুর রহমান বলেন , “করোনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা অবহেলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা জটিল হতে পারে।”
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কুশ বড়ুয়া বলেন, “করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ