মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ মারা গেছেন
Published: 15th, April 2025 GMT
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আহমেদ বাদাউই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
আব্দুল্লাহ আহমেদের জামাতা এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন ইনস্টাগ্রামে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। তবে সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেননি।
কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রবিবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার পর আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা এবং তাৎক্ষণিক তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে ২০০৩ সালে পদত্যাগ করলে দেশটির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ। ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি।
অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্যে মধ্যপন্থি ইসলামের সমর্থক ছিলেন আব্দুল্লাহ।
জ্বালানি ভর্তুকি পর্যালোচনা করা নিয়ে দেশটিতে জনসাধারণের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বছর খানেক পর ২০০৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?