মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আহমেদ বাদাউই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

আব্দুল্লাহ আহমেদের জামাতা এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন ইনস্টাগ্রামে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। তবে সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেননি। 

কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রবিবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার পর আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা  এবং তাৎক্ষণিক তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। 

আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে ২০০৩ সালে পদত্যাগ করলে দেশটির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ। ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি।

অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্যে মধ্যপন্থি ইসলামের সমর্থক ছিলেন আব্দুল্লাহ।

জ্বালানি ভর্তুকি পর্যালোচনা করা নিয়ে দেশটিতে জনসাধারণের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বছর খানেক পর ২০০৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ