যুবদল নেতার চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 15th, April 2025 GMT
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজার কাছে চরশেরপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা শাকিল আহমেদের চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে চরশেরপুর তালেব আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সমাবেশ ও মানবন্ধনে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা যুবদল নেতা শাকিলের ছবিতে ঝাড়ুপেটা করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরশেরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, ১ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি রুবেল মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি মো.
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে ৭ দাবিতে এ আই টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি
চট্টগ্রামে পদোন্নতি বঞ্চিত ফরেস্টার ও ফরেস্ট গার্ডদের মানববন্ধন
এ সময় বক্তারা বলেন, চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু চাহিদামত চাঁদা না দেওয়ায় তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
তারা বলেন, শহরের কতিপয় চাঁদাবাজের মদদদাতারা চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছে, যা হাস্যকর। এ সময় বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাকিল আহমেদ, সাধন, আলমগীর, ছামিদুল, মানিক ও সোহাগসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করেন।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা শাকিল আহমেদ বলেন, ‘‘সেলিম রেজা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। চাঁদা দাবির প্রশ্নই ওঠে না। আমি ইতোমধ্যে মানববন্ধন করে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছি।’’
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যান সেলিম রেজা পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এদিকে, দুপুরে জেলা শহরের থানামোড়ে চরশেরপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজার বিচার দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে যুবদল নেতাকে প্রাণনাশের হুমকিরহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবি করা হয়।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুগঞ্জে এবি পার্টির ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল
বরিশালের বাবুগঞ্জে জনগণকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় লোকজন। ‘বাবুগঞ্জ-মীরগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে গতকাল বুধবার বিকেলে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রাম থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। পরে রাতে ওই কর্মসূচির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একদল ব্যক্তি ঝাড়ু হাতে আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। মিছিলের সামনে ছিলেন নারীরা। তাঁদের হাতে ছিল ছাড়ু। একজন হ্যান্ডমাইকে স্লোগান দিচ্ছেন, ‘ফুয়াদের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘ফুয়াদের ঠিকানা, বাবুগঞ্জে হবে না’।
মুলাদী-বাবুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৩ আসনে এবি পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
৭ ডিসেম্বর বরিশালের বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার মধ্যবর্তী মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এ সময় সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মীরগঞ্জ সেতুর ঠিকাদারদের কাছে স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছে।’ তাঁর এ বক্তব্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তাঁরা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান এবং কয়েকজনকে তেড়ে আসতে দেখা যায়। পরে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।
আরও পড়ুন‘স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছে’ বলার পর বরিশালে তোপের মুখে এবি পার্টির ফুয়াদ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আসাদুজ্জামান তাঁর নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও ‘ভুয়া ভুয়া’সহ বিভিন্ন উত্তেজনাকর স্লোগান দিতে দিতে তাঁকে অনুসরণ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর আসাদুজ্জামানের মন্তব্যের প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। ক্ষমা না চাইলে বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলায় আসাদুজ্জামানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে তাঁরা ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ খান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মীরগঞ্জ এলাকায় এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ একটি মিছিল করেছে। এটা আমরা জেনেছি।’
আরও পড়ুনবাবুগঞ্জের ঘটনায় এক দিনেই বিএনপির ১০ লাখ ভোট কমে গেছে: এবি পার্টির নেতা ফুয়াদ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫এদিকে ওই ঘটনার পর গত সোমবার বরিশাল প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের দলের একাংশের আচরণের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার ভোট কমছে। বাবুগঞ্জের ঘটনায় এক দিনেই ১০ লাখ ভোট কমে গেছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।’