পাসপোর্টের অপেক্ষায় সামিত, বাফুফের সঙ্গে আলোচনা
Published: 15th, April 2025 GMT
সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর সময় লেগেছে তিন সপ্তাহের মতো। গত শুক্রবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে জড়াতে চান। কানাডা প্রবাসী সামিত সোমের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই তোড়জোড় শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
আগামী ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচেই লাল-সবুজের জার্সিতে এ মিডফিল্ডারকে খেলাতে চায় বাফুফে। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে অনলাইন মিটিং করেন বাফুফের অন্যতম সহসভাপতি ফাহাদ করিম। আলোচনায় দুই পক্ষই গুরুত্ব দিয়েছে পাসপোর্টকে।
সামিতের পাসপোর্টের কাজ বাফুফে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ করিম, ‘সামিতও আশা করছেন জুনেই খেলার জন্য। আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি তিনিও জানেন। আমরা ইতোমধ্যে জন্মনিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আশা করছি, শিগগিরই এটি হয়ে যাবে। এরপর সামিত কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন। তাঁর ক্লাবের ব্যস্ত অনুশীলন সূচি রয়েছে। তিনি যেন খুব সহজে আবেদন করে আবার ক্লাবে ফিরতে পারেন, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি হওয়ার আগে সামিত বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ কোথায় হবে, অনুশীলন ভেন্যুর মান, ক্যাম্পে যোগদানের তারিখ, জুনে বাংলাদেশের আবহাওয়া কেমন থাকে এবং বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগবে।
মঙ্গলবারের আলোচনায় এসবের কিছুই চাননি বলে জানিয়েছেন ফাহাদ করিম, ‘আমি একাধিকবার জিজ্ঞেস করেছি তাঁর প্রত্যাশা বা চাহিদা রয়েছে কিনা বাফুফের কাছে। তিনি এ-সংক্রান্ত কিছু বলেননি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান এবং সর্বপ্রথম তিনি পাসপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। পাসপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য আবার আলোচনা করবেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।