ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর হাতে ওবায়দুর রহমান মুন্সী নামের এক কৃষকদল নেতা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সী ওই গ্রামের আব্দুল খালেক মুন্সীর ছেলে ও উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ওবায়দুর রহমান মুন্সীর সঙ্গে তার স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূর বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাতে ওবায়দুর রহমান মুন্সীর মাথায় শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন স্ত্রী সাবিনা বেগম।

আরো পড়ুন:

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা

ভুট্টা ক্ষেতে শিশুর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।’’

‘‘জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম হত্যাকাণ্ডের স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’- যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/তামিম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ