ফেনীতে কালবৈশাখী-শিলাবৃষ্টি, ফসলের ক্ষতি
Published: 17th, April 2025 GMT
ফেনী জেলায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
দুপুর ১২টার পর হঠাৎ করেই ঘন কালো মেঘে ফেনীর আকাশ ঢেকে যায়। সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ১০ মিনিট পর শুরু হয় প্রবল দমকা হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি, যা চলে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৮ কিলোমিটার, যা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরো পড়ুন:
সারা দেশে পাঁচ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
চুয়াডাঙ্গায় বৈশাখের প্রথম দিনেই ঝড়-বৃষ্টি
ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে আধা-পাকা ও কাঁচা ধান মাটিতে হেলে পড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁপে, লাউ, কুমড়া ও অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত।
শুধু কৃষি নয়, দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসীও। শহরের পৌরসভা এলাকা, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এবং কর্মজীবী মানুষ ভোগান্তির শিকার হন। কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়।
তবে কালবৈশাখীর এই তাণ্ডবের মধ্যেও স্বস্তির কিছুটা পরশ এনে দেয় নিম্নমুখী তাপমাত্রা। টানা গরমের পর হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়া ফেনীবাসীকে স্বস্তি দেয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেনী কার্যালয়ের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মো.
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কৃষিখাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধান ও সবজির ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, ঝড়ে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।
ঢাকা/সাহাব/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলগ্রহের জন্য রোভার তৈরির মিশনে কীভাবে একটু একটু করে এগোচ্ছি আমরা
ছবি: সংগৃহীত