ফেনী জেলায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

দুপুর ১২টার পর হঠাৎ করেই ঘন কালো মেঘে ফেনীর আকাশ ঢেকে যায়। সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ১০ মিনিট পর শুরু হয় প্রবল দমকা হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি, যা চলে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৮ কিলোমিটার, যা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছিল।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরো পড়ুন:

সারা দেশে পাঁচ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

চুয়াডাঙ্গায় বৈশাখের প্রথম দিনেই ঝড়-বৃষ্টি

ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে আধা-পাকা ও কাঁচা ধান মাটিতে হেলে পড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁপে, লাউ, কুমড়া ও অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত।

শুধু কৃষি নয়, দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসীও। শহরের পৌরসভা এলাকা, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এবং কর্মজীবী মানুষ ভোগান্তির শিকার হন। কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়।

তবে কালবৈশাখীর এই তাণ্ডবের মধ্যেও স্বস্তির কিছুটা পরশ এনে দেয় নিম্নমুখী তাপমাত্রা। টানা গরমের পর হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়া ফেনীবাসীকে স্বস্তি দেয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেনী কার্যালয়ের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মো.

মুজিবুর রহমান জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে এই ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কৃষিখাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধান ও সবজির ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, ঝড়ে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। 

ঢাকা/সাহাব/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল ঝড়

এছাড়াও পড়ুন:

চব্বিশ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়: ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘জুলাই, ২৪ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক  প্রফেসর ড. এএসএম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসীর। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ