খুলনায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত
Published: 18th, April 2025 GMT
খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা নগরীর ডাকবাংলা চত্বরে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মাদ সালেহের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মোল্লা মিরাজুল হকের পরিচালনায় মিছিল পূর্ব সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ। ঘোষণাপত্রে কয়েকটি দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা।১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ফিরিয়ে দিতে হবে এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদে স্বাধীনভাবে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর সুযোগ দিতে হবে। খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসাসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজার অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ইমাম পরিষদের সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুশতাক আহমাদ, সহ-সভাপতি মাওলানা রহমাতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসিরুদ্দিন কাসেমী, সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি জিহাদুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগীয় সম্পাদক মুফতি গোলামুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুল আজম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মো.
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাখপুরের রংবাহারি রাম্বুটান
১৯ জুলাই সকাল ১০টা। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল বাজারে গাড়ি থেকে নামলাম। ততক্ষণে ব্যাপারীদের পাইকারি কেনাকাটা শেষ। মালপত্র বেঁধেছেঁদে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। কিন্তু ফুটপাতে তখনো ভিড়। খুচরা ক্রেতারা পছন্দের জিনিস কিনতে দরদাম করছেন। ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লাম, দেখা যাক কী পাওয়া যায়।
কাঁঠালের দোকানে তেমন ভিড় নেই। লটকনের দোকান বেশি, বিক্রিও ভালো। আকার অনুযায়ী দাম। এখানে না এলে জানতামই না, এত বড় আকারের লটকন হতে পারে! এক গৃহস্থ টুকরিতে কলম্বো লেবু নিয়ে বসে আছেন। এই লেবু আকৃতি ও সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে থামতেই হলো। কয়েকটি দোকানে সাজানো হলুদ আর লাল রঙের রাম্বুটান!
দেখতে ফুলের মতো আকর্ষণীয় রঙের এই ফল সবার নজর কাড়ছে। ক্রেতারা দাম জানতে চাইছেন। কেউ কেউ কিনছেনও। জানতে চাইলাম, এই রাম্বুটান কোথা থেকে এল? দোকানির উত্তর শুনে চোখ ছানাবড়া। নরসিংদীর কয়েকটি গ্রামেই নাকি ইদানীং চাষ হচ্ছে রাম্বুটান। দারুণ ব্যাপার। এ খবর জানা ছিল না।
কাছাকাছি দূরত্বে কোনো গ্রামে গেলে কি রাম্বুটানের বাগান দেখতে পাওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা মো. সুজন মিয়া। তিনি জানালেন,Ñকাছেই বেলাব উপজেলার লাখপুর গ্রামে চমৎকার একটি বাগান আছে।
আমরা দ্রুত বাগানের পথ ধরি। বাগানে যেতে যেতে মনে হলোÑ ঘন গাছপালার ছাউনির ভেতর দিয়ে ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছি! এখানকার বেশির ভাগ গাছই লটকনের। বাগানগুলো এতই বড় যে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ভালোভাবে দেখা যায় না।
অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম লাখপুর গ্রামে। উয়ারী ও বটেশ্বর–লাগোয়া এই গ্রামে রাম্বুটানের বাগানে গিয়ে চমকে উঠি। বেশ বড় বড় অনেক গাছ। গাছে গাছে দুই রঙের রাম্বুটান। চমৎকার দৃশ্য।
এ রংবাহারি ফল দেখার জন্য সারা দিন অনেক মানুষ ভিড় করেন সেখানে। কেউ কেউ দেখছেন, আবার কিনছেনও। একটু সময় নিয়ে বাগানটি ঘুরে দেখি। ছয়-সাত বছর বয়সী সব গাছই ফলভারে আনত। পাকা ফলগুলো দেখতে রঙের ঝরনাধারার মতো, বহুবর্ণিল। বাগান থেকে তরতাজা কিছু ফল কিনি। মন ভরে ছবি তুলি।
একসময় রাম্বুটান চিনতাম না। ২০০৫ সালে হংকংয়ে বেড়াতে গিয়ে বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনের বাসায় প্রথম এ ফল খাই। পরে কুয়ালালামপুর শহরের আশপাশে রাম্বুটানের অনেক গাছ দেখেছি। দুই বছর পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারে গাছভর্তি রাম্বুটান দেখে চমৎকৃত হয়েছিলাম। বীজ থেকে তৈরি চারাগুলো সেখানে প্রথম লাগানো হয় ১৯৯৮ সালে। প্রায় সাত বছর পর গাছগুলোতে ফল আসতে শুরু করে। আকৃতি ও স্বাদের দিক থেকেও ফলগুলো সমমানের।
বাগানে সুদর্শন হলুদ রঙের রাম্বুটান