এবার ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না পাকিস্তান, বেকায়দায় বিসিসিআই
Published: 18th, April 2025 GMT
নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা তিন জয়ে মূল পর্বে খেলার খুব কাছেই ছিল পাকিস্তানের মেয়েরা। লাহোরে কাল রাতে থাইল্যান্ডকে ৭৮ রানে হারিয়ে সবার আগে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফাতিমা সানার দল।
পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চয় এই দিনের অপেক্ষায় ছিল! কারণ, মেয়েরা বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাওয়ায় এবার যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান। বলতে পারেন, এটি ভারতকে পাকিস্তানের জবাবও।
কীভাবে? আইসিসি ইভেন্টে খেলা নিয়ে দুই বোর্ডের সর্বশেষ চুক্তি।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো উন্নত বিশ্বের দেশ ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে নিজেদের দলকে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল। দেশটিতে গিয়ে নির্বিঘ্নে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে এসেছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তানও। যায়নি শুধু ভারত।
রোহিত-কোহলি-জাদেজাদের পাকিস্তানে না পাঠানোর কারণ হিসেবে ভারত সরকার বারবার নিরাপত্তা-শঙ্কার কথা বলে এলেও আসল কারণ যে রাজনৈতিক বৈরিতা, সেটি না বললেও চলছে। শেষ পর্যন্ত ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) শর্ত মেনে নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করেছিল।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানকে দুবাইয়ে গিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলে আসতে হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।