জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে মূল দলে লিওনেল মেসির ২১ বছরের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কোচ কারা? অবশ্যই পেপ গার্দিওলা ও লিওনেল স্কালোনি। প্রথমজন ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বার্সার কোচ ছিলেন। সে সময় মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের নিয়ে বিশ্বসেরা বানিয়েছিলেন কাতালান ক্লাবটিকে। মেসির আজ এতটা তারকাখ্যাতির ভিত ছিল গার্দিওলার সে ‘ড্রিম টিম’–এর খেলার ধরন, যেখানে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ছিলেন কেন্দ্রবিন্দু।

আর স্কালোনি? জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির কিছুই না জেতার খরা কাটিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন কোচ। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। এরপর ২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ের পাশাপাশি মেসিদের জেতান ২০২২ বিশ্বকাপ। সে বছর তাঁর অধীনে ‘ফিনালিসিমা’ জিতেছে আর্জেন্টিনা। এসব শিরোপায় ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে পরিপূর্ণতা পেয়েছে মেসির ক্যারিয়ার।

আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্ডার কিকে উলফের অনুষ্ঠান ‘সিম্পলি ফুটবল’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দুই কোচ নিয়ে কথা বলেন মেসি। বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটি কোচের দায়িত্বে থাকা গার্দিওলাকে নিয়ে ইন্টার মায়ামি তারকা বলেছেন, ‘পেপ গার্দিওলা অন্য গ্রহের। তিনি আলাদা। তিনি যা দেখেন, সবার চোখে তা পড়ে না। তিনি ফুটবল পাল্টেছেন।’

গার্দিওলার অধীনে মেসি কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের সোনালি সময়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুতে ঈদের ছুটির শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৭ কোটি টাকার টোল আদায়

ঈদের ছুটি শেষে গত দুই দিনে সড়কে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বেড়ে যায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারও। বেড়েছে টোল আদায়ও। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৭৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন রয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ৩০ হাজার ৮১৭টি। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন পারাপার হয়। এবার ঈদের ছুটির শুরুতে এবং শেষে যানবাহন পারাপার কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ