ভিভ রিচার্ডস–সোবার্সের মতোই ফিরবেন বাবর
Published: 19th, April 2025 GMT
এখনো পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সর্বোচ্চ রান (৩৫০৫) বাবর আজমের। ২০১৭–২০২২ পর্যন্ত করাচি কিংসের হয়ে খেলেছেন তিনি। তাদের হয়ে দুই হাজারের বেশি রান করেছেন। কিন্তু এবার পেশোয়ার জালমির জার্সিতে যাত্রাটা সুখকর হয়নি বাবরের।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি (০ ও ১)। শুধু পিএসএলই নয়, জাতীয় দলের হয়েও বছরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। টি–টোয়েন্টি না খেললেও ৮ ওয়ানডেতে করেছেন মোটে ২৭৮ রান।
এমন ফর্মহীনতার কারণে প্রায়ই নিন্দুকের সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন বাবর। এই দুঃসময়ে করাচি কিংসের মালিক সালমান ইকবাল তাঁর হয়েই ব্যাট ধরলেন। পাশাপাশি এ–ও জানিয়ে রাখলেন, বাবর ছন্দে ফিরলে কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স এবং স্যার ভিভ রিচার্ডসের মতোই ২২ গজে রানের আলো ছড়াবেন। শুধু তা–ই নয়, সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকেও তখন ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করাচি কিংসের মালিক সালমান বলেন, ‘আমি আপনাদের বলে রাখলাম, আমার কথাগুলো প্রয়োজনে লিখে রাখুন, যখন বাবর আবার ফর্মে ফিরবে, তখন সে বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে ভয়ংকর হবে, এমনকি বিরাট কোহলির চেয়েও। তাঁর সঙ্গে তখন স্যার গ্যারি সোবার্স এবং স্যার ভিভ রিচার্ডসের মতো মহাতারকাদের মিল পাবেন।’
আরও পড়ুনএবার ‘মাঠে’ নেমে গেলেন বাবর আজমের বাবা০৬ মার্চ ২০২৫যেকোনো ব্যাটসম্যানেরই নিজস্ব একটা খেলার ধরন থাকে, নিজস্ব কিছু গুণও থাকে। সেই ব্যাটসম্যান ফর্মে না থাকলেও তাঁর প্রতিভা হারিয়ে যায় না। বাবর প্রসঙ্গে যেমনটা বলেছেন করাচি কিংসের এই মালিক, ‘বাবরের মধ্যে আলাদা একটা গুণ আছে। যখন কেউ এমন প্রতিভাবান হয়…তখন সেটা স্থায়ীভাবেই তাঁর সঙ্গে থাকে। আপনি চাইলেও সেই গুণ, সেই দক্ষতাটা পরিবর্তন করতে পারবেন না। খেলার ধরনটা সব সময়ই একজন খেলোয়াড়ের চিরস্থায়ী বিষয়। সে (বাবর) ফিরে আসবেই…ফিরে আসবে চেনা ছন্দে।’
২০১৬ সাল থেকে পিএসএলে খেলছেন বাবর। শুরুটা হয়েছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডে দিয়ে। এরপর করাচি কিংস হয়ে এবার খেলছেন পেশোয়ারে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচে ৩ হাজার ৫০৫ রান করেছেন বাবর। যেখানে সর্বোচ্চ ১১৫। সেঞ্চুরি দুটি আর ফিফটি ৩৩টি।
আরও পড়ুনছন্দহীন বাবর আজমও রেকর্ড ছুঁতে পারেন১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব বর
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি