গরমে বাড়ছে আইসক্রিমের বিক্রি, বড় হচ্ছে বাজার
Published: 19th, April 2025 GMT
গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন আইসক্রিমের ব্যবসাও বেড়ে গেছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আইসক্রিমের ব্যবসার বড় অংশই গ্রীষ্মকালকেন্দ্রিক। গরম যত বেশি, আইসক্রিমের ব্যবসাও তত ভালো। এ কারণে দেশে বছর বছর গরমের তীব্রতা যত বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হয়েছে আইসক্রিমের বাজারও। খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত এক দশকে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে আইসক্রিমের বাজার।
যদিও দেশে আইসক্রিমের বাজার ও সেই বাজারে কার কত হিস্যা, এ নিয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে এ খাতের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে দেশের আইসক্রিমের বাজারের আকার আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। এই বছর যা বেড়ে তিন হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছর এই খাতে প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। প্রতিবছর আইসক্রিমের যে ব্যবসা হয়, তার ৮০ শতাংশ হয় মার্চ থেকে আগস্ট—এই ছয় মাসে।
দেশের আইসক্রিমের বাজারের দুই–তৃতীয়াংশ দখলে রয়েছে আব্দুল মোনেম গ্রুপের ইগলু ও ঢাকা আইসক্রিম ইন্ডাস্ট্রিজের পোলার ব্র্যান্ডের। এ ছাড়া সেভয়, লাভেলো, জা এন জি, ব্লুপ, কোয়ালিটি, বেলিসিমোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই বাজারে।
আইসক্রিম তৈরির কাঁচামালের মধ্যে চিনি, বাটার ও পানি দেশেই পাওয়া যায়। এর বাইরে চকলেট, মিল্ক ফ্যাট, ফুল ক্রিম দুধ, ফ্লেবারসহ অন্যান্য উপাদান আমদানি হয় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে। বিদেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালে ৩৫ থেকে ১০০ শতাংশ করভার রয়েছে। ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে এই করভারকে প্রধান প্রতিবন্ধকতা মনে করেন খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতাও এই ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় বাধা।
বর্তমানে প্রতিদিন দেড় লাখ লিটারের বেশি আইসক্রিম উৎপাদন করছে ইগলু ব্র্যান্ড। প্রতিষ্ঠানটির আইসক্রিম, ডেইরি ও ফুড ইউনিটের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক নাসিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মূলত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আইসক্রিমের ব্যবসা তুঙ্গে থাকে। আইসক্রিম তৈরির বিভিন্ন উপাদান যেমন চকলেট, মিল্ক ফ্যাট, ফুল ক্রিম দুধ ও ফ্লেবারের মতো কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্ক এ খাতের ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। এ ছাড়া কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও অপ্রতুল। এসব কারণে এ খাতের ব্যবসা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ছে না।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইসক্রিমসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হারভেস্টের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে দেশে আইসক্রিমের বাজারের আকার ছিল ৭৩০ কোটি টাকার। ২০২১ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকায়। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এই বাজারে আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ চার বছরে আইসক্রিমের ব্যবসা বেড়েছে ৩ গুণের বেশি।
খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাজারে ব্র্যান্ডের আইসক্রিমের মধ্যে পোলার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তারা বাজারে ৩১ দশমিক ৫১ শতাংশ আইসক্রিম সরবরাহ করে। দ্বিতীয় অবস্থানে ইগলু। তাদের বাজার হিস্যা প্রায় ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে সেভয় রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। লাভেলোর বাজার হিস্যা ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ, তালিকায় তারা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া বেলিসিমো, জা-এন-জি, ব্লুপ, কোয়ালিটি ও চট্টগ্রামের পান্ডা, মাগুরার পিপাসা, খুলনার মিল্কিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইসক্রিম রয়েছে বাজারে।
বিক্রি বেড়েছে গরমে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আইসক্রিম পারলার। যেখানে আইসক্রিমের পাশাপাশি কফি, জুসসহ নানা ধরনের পানীয় বিক্রি হয়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইসক্রিম প্রতিষ্ঠান মুভেনপিকের ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক মুরাদ রাজ প্রথম আলোকে বলেন, মূলত গরমে আইসক্রিম বিক্রি বাড়ে। তবে ধানমন্ডিতে শীত কিংবা অন্যান্য সময়েও আইসক্রিমের ভালো চাহিদা থাকে। আগে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার আইসক্রিম বিক্রি হলেও গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে এই বিক্রি দৈনিক গড়ে এক লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।
বেলিসিমো আইসক্রিম পারলারের ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক বুলবুল আহমেদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি ৩০ শতাংশের বেশি। প্রতিদিন এখন দুই শতাধিক ক্রেতা আসেন। আগে প্রতিদিন গড়ে এক শর কাছাকাছি ক্রেতা ছিল। ধানমন্ডির শেফস টেবিল ফুডকোর্টে রয়েছে সেভয় গ্যালারি নামের আইসক্রিমের পারলার। তাদের কাছে রয়েছে মোট ১৪টি ফ্লেবারের আইসক্রিম। সেভয় গ্যালারির ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক সুমন হোসেন বলেন, আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টাব (৫ লিটারের আইসক্রিমের বক্স) আইসক্রিম বিক্রি হলেও এখন ১৮ থেকে ২০ টাব বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে রাজধানীর পাড়া–মহল্লার দোকানগুলোতেও আইসক্রিম বিক্রি বেড়েছে। মোহাম্মদপুরে কথা হয় মুদিদোকানি শিমুল বড়ুয়ার সঙ্গে। ইগলু ও পোলারের নানা ধরনের স্টিক ও ১ লিটারের টাব আইসক্রিম পাওয়া যায় তাঁর দোকানে। তিনি বলেন, গরমে বিক্রি কিছুটা বাড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য সময় প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার আইসক্রিম বিক্রি হলেও এখন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার আইসক্রিম বিক্রি হয়।
আইসক্রিমের ব্যবসা কেমন
গত এক দশকে ভারতের আইসক্রিম বাজার বড় হয়েছে দেশে। ভারতীয় আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থা (আইআইসিএমএ) জানিয়েছে, আইসক্রিমের বাজারের বর্তমান প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী তিন বছরের মধ্যে এই বাজারের আকার বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি রুপিতে।
খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আইসক্রিমের ৫০ শতাংশ ক্রেতাই শিশু থেকে ৩০ বছরের তরুণ–তরুণীরা। তবে মধ্যবয়সী ক্রেতার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
লাভেলো আইসক্রিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুল হক বলেন, দেশে পাঁচ বছর আগেও ঢাকার বাইরে এত বড় বাজার ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে আইসক্রিম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে ব্যবসা সম্প্রসারণে মনোযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে কোন ও কাপে প্যাকেটজাত আইসক্রিম।
বেসরকারি একটি আইসক্রিম প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা ও তার চারপাশের অঞ্চলে ইগলু ও পোলারের রেফ্রিজারেটরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তার পরেই রয়েছে সেভয়, লাভেলো ও বেলিসিমোর মতো প্রতিষ্ঠান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইসক র ম র ব জ র র আইসক র ম ব ক র র আইসক র ম র র আইসক র ম ব আইসক র ম প র ব যবস থ ধ নমন ড অবস থ ন বলছ ন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারবাজারে লেনদেন-খরা কাটছে না, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
ঈদের ১০ দিনের ছুটির পর লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। দীর্ঘ ছুটির পর আজ রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় দরপতনে। যদিও দিন শেষে সূচক ও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে তা বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। উল্টো ভালো মৌল ভিত্তির কিছু শেয়ারের দরপতন বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
ঢাকার বাজারে রোববার লেনদেন হওয়া ৩৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯টিরই দরপতন হয়েছে, দাম বেড়েছে ১৪৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৮টির দাম। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দামের উত্থান–পতনের প্রভাবে দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। আর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৯ কোটি টাকা বেশি।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের লেনদেন বর্তমানে যে পর্যায়ে নেমেছে, তাতে বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কারও জন্যই তা আশান্বিত হওয়ার মতো না। এই লেনদেনে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর পরিচালন খরচ তোলায় দুঃসাধ্য হয়ে গেছে। ফলে অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক মাস শেষে বাজার থেকে পরিচালন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। একইভাবে লেনদেন থেকে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো যে কমিশন আয় করে তা দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালন খরচ উঠছে না।
সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, বাজেটকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘোষিত বাজেটে সরাসরি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সুখবর ছিল না। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার নিয়ে হতাশা আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে বাজারে কোনো বিনিয়োগকারী তো আসছেনই না, উল্টো বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরাও সুযোগ পেলে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাজার দীর্ঘ মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে আজ রোববার সূচকের পতনে যেসব কোম্পানি বড় ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, রেনাটা, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে আজ ডিএসইএক্স সূচকটি ৭ পয়েন্ট কমেছে। তার বিপরীতে সূচকের উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মা, লাভেলো আইসক্রিম, সিটি ব্যাংক, এসিআই, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বীকন ফার্মা। এসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে ডিএসইএক্স সূচকটি ১৮ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে।
লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, একদিকে ভালো মৌল ভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে, অন্যদিকে কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি সেই পতনকে রোধ করেছে। এই কারণে দিন শেষে সূচকটি ইতিবাচক ধারায় ছিল।
ঢাকার বাজারে আজ লেনদেনের এক–পঞ্চমাংশ বা প্রায় ২০ শতাংশই ছিল খাদ্য খাতের দখলে। এ খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি টাকা। যার প্রায় অর্ধেকই আবার একটি কোম্পানির, সেটি লাভেলো আইসক্রিম। রোববার ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। দিন শেষে ২৫ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। মূলত লাভেলো আইসক্রিমের লেনদেনের ওপর ভিত্তি করেই এদিন খাদ্য খাত লেনদেনের শীর্ষে জায়গা করে নেয়। খাতভিত্তিক লেনদেনের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। এই খাতের কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতকে এদিন লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে রাখার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ব্র্যাক ব্যাংকের। ঢাকার বাজারে আজ রোববার ব্র্যাকের ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। সেই হিসাবে ব্যাংক খাতের সম্মিলিত লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই ছিল ব্যাংকটির একক লেনদেন।
বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে এখন নতুন করে কোনো আশা দেখছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে যাচ্ছেন। বাজেটকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেটি পূরণ না হওয়ায় হতাশা আরও বেড়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়ছে।