দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের (১৩ থেকে ১৭ এপ্রিল) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৭.

৯০ পয়েন্ট বা ২.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫২.৫১ পয়েন্ট বা ২.৭২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৫ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৯.২৫ পয়েন্ট বা ২.৪৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৪০.০৮ পয়েন্ট বা ৪.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯২৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮৪০ কোটি ২১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, দর কমেছে ২৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত ১৯ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫০.৩০ পয়েন্ট বা ১.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৮১০ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৬৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ২.২২ শতাংশ কমে ৯২৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৪.৫৭ শতাংশ থাকায় ১ হাজার ৯৪৮ পয়েন্ট অপরিবর্তীত রয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার ৯৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭৭৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৬০ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, দর কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন আর ব দ ন কম ছ ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

সুদের টাকার জন্য গাছে বেঁধে নির্যাতন

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকার জন্য নুর আমিন (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের ভাটিলংগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নুর আমিন ভাটিলংগরপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে। নির্যাতনের খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু, তার আগেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের জলিল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক ১০ শতাংশ হারে সুদে এক লাখ টাকা নেন নুর আমিন। সুদের টাকা কয়েকমাস নিয়মিত দিয়েছিলেন তিনি। পরে সুদের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়। একপর্যায়ে টাকা না পেয়ে রাস্তা থেকে নুর আমিনের একটি মোটরসাইকেল আটকে রাখেন জলিল। গত এক বছর ধরে মোটরসাইকেলটি জলিলের বাড়িতেই আছে। সম্প্রতি সুদের টাকার জন্য নুর আমিনকে আবার চাপ দেন জলিল। এর জেরে রবিবার তাকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে নুর আলম বলেন, ‘‘সুদের টাকার জন্য আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জলিল নিয়ে গেছে। সে সময় বলেছিল, তার আর কোনো দাবি নাই। কিন্তু, এখন আবার টাকা দাবি করছে।’’

আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, ‘‘নুর আলমের কাছে অনেকদিন ধরে টাকা পাই। তাই তাকে বাজার থেকে ধরে এনেছি। তবে, কোনো মারধর করিনি; স্বাভাবিক অবস্থায় বাড়িতে রেখে দিয়েছিলাম। যখন আটকাতে পারছিলাম না, তখন বেঁধে রেখেছিলাম। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।’’

খড়িয়া কাজেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল কবীর রূপা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে আব্দুল জলিলের বাড়িতে গিয়ে দেখি, নুর আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে দুপক্ষকে সম্মত করি। আর বেঁধে রাখার ঘটনায় জলিলকে সামাজিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে।’’

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘‘গাছে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তার আগেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ