লিভারপুলের হেড কোচ আর্নে স্লট এখন হয়ত আকাশে উড়ছেন। অলরেডদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ফুটবলারের চুক্তি শেষ পর্যায়ে ছিল। তাদের মাঝে মোহাম্মদ সালাহ ও ভার্জিল ভ্যান ডাইকের চুক্তি এক সপ্তাহের ব্যবধানে নবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে লিভারপুল। এরপর ক্লাবটির ডাচ কোচ দাবি করলেন, এই দুজনের সঙ্গে নতুনভাবে চুক্তি করাটা ক্লাবের ‘অসাধারণ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার’ প্রতিফলন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) লিভারপুল নিশ্চিত করেছে যে, ভ্যান ডাইক আনফিল্ডে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন। ফলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান গুঞ্জনের অবসান ঘটেছে। গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল। এর আগে সালাহও গত সপ্তাহে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

স্লট বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে, আমরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে চাই। যারা গত অনেক বছর ধরে দারুণ পারফর্ম করে আসছে। ফ্রি এজেন্ট হবার সম্ভাবনায় ছিল, এমন খেলোয়াড়দের যখন আমরা ধরে রাখতে পারি, সেটা ক্লাবের ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। ভার্জিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে একজন দারুণ ব্যক্তি এবং দুর্দান্ত খেলোয়াড়।”

আরো পড়ুন:

লিভারপুল ও সালাহার গল্প আরো দুই বছর চলবে

তোমার হলো শুরু, আমার হলো সারা

ভ্যান ডাইক লিভারপুলের হয়ে সাত বছরে ৩০০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সাতটি বড় ট্রফি জিতেছেন। ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার চলতি মৌসুমে স্লটের অধীনে প্রতিটি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে খেলেছেন এবং লিভারপুলকে তাদের ২০তম লিগ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন।

এই ব্যাপারগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে স্লট বলেন, “তাঁর গুরুত্ব বোঝানো প্রায় অসম্ভব, কারণ আপনি তা বোঝেন যখন তাঁকে খেলতে দেখেন। সবাই তাঁকে ডিফেন্ডার হিসেবে বছরের পর বছর প্রশংসা করেছে। আমি মূলত বলের নিয়ন্ত্রণ দেখে খেলা দেখি, এবং সে পিছন থেকে বল বের করে আনার ক্ষেত্রে দারুণ দক্ষ। তারপর আসে তার নেতৃত্ব, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং মাঠে। আমি এমন নেতৃত্ব ও ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসা খেলোয়াড়ের সঙ্গে আগে কাজ করিনি।”

সালাহ ও ভ্যান ডাইক নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তবে অলরেডদের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড এখনো নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। জোর গুঞ্জন আছে এই ইংলিশ ফুলব্যাক সামনের গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখাতে পারেন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ