‘ভ্যান ডাইক ও সালহার চুক্তি নবায়ন উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফসল’
Published: 19th, April 2025 GMT
লিভারপুলের হেড কোচ আর্নে স্লট এখন হয়ত আকাশে উড়ছেন। অলরেডদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ফুটবলারের চুক্তি শেষ পর্যায়ে ছিল। তাদের মাঝে মোহাম্মদ সালাহ ও ভার্জিল ভ্যান ডাইকের চুক্তি এক সপ্তাহের ব্যবধানে নবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে লিভারপুল। এরপর ক্লাবটির ডাচ কোচ দাবি করলেন, এই দুজনের সঙ্গে নতুনভাবে চুক্তি করাটা ক্লাবের ‘অসাধারণ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার’ প্রতিফলন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) লিভারপুল নিশ্চিত করেছে যে, ভ্যান ডাইক আনফিল্ডে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন। ফলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান গুঞ্জনের অবসান ঘটেছে। গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল। এর আগে সালাহও গত সপ্তাহে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
স্লট বলেন, “এটি প্রমাণ করে যে, আমরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে চাই। যারা গত অনেক বছর ধরে দারুণ পারফর্ম করে আসছে। ফ্রি এজেন্ট হবার সম্ভাবনায় ছিল, এমন খেলোয়াড়দের যখন আমরা ধরে রাখতে পারি, সেটা ক্লাবের ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। ভার্জিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে একজন দারুণ ব্যক্তি এবং দুর্দান্ত খেলোয়াড়।”
আরো পড়ুন:
লিভারপুল ও সালাহার গল্প আরো দুই বছর চলবে
তোমার হলো শুরু, আমার হলো সারা
ভ্যান ডাইক লিভারপুলের হয়ে সাত বছরে ৩০০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সাতটি বড় ট্রফি জিতেছেন। ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার চলতি মৌসুমে স্লটের অধীনে প্রতিটি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে খেলেছেন এবং লিভারপুলকে তাদের ২০তম লিগ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন।
এই ব্যাপারগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে স্লট বলেন, “তাঁর গুরুত্ব বোঝানো প্রায় অসম্ভব, কারণ আপনি তা বোঝেন যখন তাঁকে খেলতে দেখেন। সবাই তাঁকে ডিফেন্ডার হিসেবে বছরের পর বছর প্রশংসা করেছে। আমি মূলত বলের নিয়ন্ত্রণ দেখে খেলা দেখি, এবং সে পিছন থেকে বল বের করে আনার ক্ষেত্রে দারুণ দক্ষ। তারপর আসে তার নেতৃত্ব, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং মাঠে। আমি এমন নেতৃত্ব ও ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসা খেলোয়াড়ের সঙ্গে আগে কাজ করিনি।”
সালাহ ও ভ্যান ডাইক নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তবে অলরেডদের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড এখনো নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। জোর গুঞ্জন আছে এই ইংলিশ ফুলব্যাক সামনের গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখাতে পারেন।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।