রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। ইস্টার উৎসবের জন্য স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এমন এক সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কো এবং কিয়েভ উভয়কেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তিনি চুক্তির জন্য ক্রেমলিনের কাছ থেকে বড় ধরনের ছাড় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
পুতিন রাশিয়ার চিফ অফ স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সাথে দেখা করার সময় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে বলেন, “আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাশিয়ান পক্ষ ইস্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে।”
খ্রিস্টানদের জন্য একটি প্রধান ছুটির দিন ইস্টার সানডে।
‘মানবিক কারণে’ এই যুদ্ধবিরতি উল্লেখ করে পুতিন বলেন, “আমি এই সময়ের জন্য সব সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা এই ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছি যে ইউক্রেনীয় পক্ষ আমাদের উদাহরণ অনুসরণ করবে। একই সময় আমাদের সেনাদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং শত্রুর উস্কানিসহ যেকোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।