রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। ইস্টার উৎসবের জন্য স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এমন এক সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কো এবং কিয়েভ উভয়কেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তিনি চুক্তির জন্য ক্রেমলিনের কাছ থেকে বড় ধরনের ছাড় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
পুতিন রাশিয়ার চিফ অফ স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সাথে দেখা করার সময় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে বলেন, “আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাশিয়ান পক্ষ ইস্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে।”
খ্রিস্টানদের জন্য একটি প্রধান ছুটির দিন ইস্টার সানডে।
‘মানবিক কারণে’ এই যুদ্ধবিরতি উল্লেখ করে পুতিন বলেন, “আমি এই সময়ের জন্য সব সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা এই ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছি যে ইউক্রেনীয় পক্ষ আমাদের উদাহরণ অনুসরণ করবে। একই সময় আমাদের সেনাদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং শত্রুর উস্কানিসহ যেকোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ