বিএনপি, গণ-অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে বিভেদ কমিয়ে সমঝোতায় না পৌঁছালে সংস্কার, ফ‍্যাসিবাদের বিচার ও নির্বাচন—সবকিছুতেই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

শনিবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নিয়মিত জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি বলছে নির্বাচনের কাট অফ টাইম চলতি বছরের ডিসেম্বর, সরকার বলছে পরবর্তী বছরের জুন আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মত হচ্ছে দৃশ‍্যমান সংস্কার ও বিচারের পরই নির্বাচন। এই তিন মতের মাঝে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতাপূর্বক একটি গ্রহণযোগ্য ঐকমত্যে না পৌঁছালে যে অনিশ্চয়তা ও সংশয় তৈরি হবে, তা দেশের জন‍্য কোনোভাবেই কল‍্যাণ বয়ে আনবে না।’

মুজিবুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি দ্রব‍্যমূল‍্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, গ্রীষ্মকালে বিদ‍্যুতের লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় রাখে আর অর্থনীতিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটাতে পারে, তাহলে রাজনীতির বাইরে সরকারের পক্ষে একটা জনমত তৈরি হয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক পক্ষ আর অরাজনৈতিক পক্ষ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলে সেটা কারও জন‍্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, জাতীয় নির্বাচন ও দলের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব‍্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.

) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী গোলাম ফারুক, জাহাঙ্গীর কাসেম, বি এম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ও লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন।

এর আগে কালে দলটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

সভায় সারা দেশের সাংগঠনিক কার্যক্রম তুলে ধরেন পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (দপ্তর) আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা। আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) আমিনুল ইসলাম। এ সময় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ব র রহম ন র জন ত ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ