৩ রেকর্ডে আইপিএল শুরু ১৪ বছর বয়সী সূর্যবংশীর
Published: 20th, April 2025 GMT
আইপিএল শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের এপ্রিলে, বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম এর প্রায় তিন বছর পর—২০১১ সালের মার্চে। আইপিএল–জমানায় পৃথিবীতে আসা সূর্যবংশীর অভিষেক হয়েছে গতকাল। ১৪ বছর বয়সী বিহারের এই ব্যাটসম্যান আইপিএলে নেমেছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে।
রেকর্ড গড়ার জন্য সূর্যবংশীর বয়সটাই যথেষ্ট ছিল। তবে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান একটি নয়, মোট তিনটি রেকর্ড গড়েছেন এদিন। জয়পুরের মানসিং স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে সূর্যবংশীর রাজস্থান আটকে গেছে ১৭৮ রানে। ২ রানে দল হেরে গেলেও সূর্যবংশী নাম লিখিয়েছেন ইতিবাচক সব রেকর্ডে।
রেকর্ড নম্বর ১প্রথম রেকর্ডটি বয়সেরই। আইপিএলে সবচেয়ে কম ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে অভিষেকের রেকর্ড এখন সূর্যবংশীর। পেছনে ফেলেছেন ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৬ বছর ১৫৭ দিনে নামা প্রয়াস রয় বর্মণকে।
রেকর্ড নম্বর ২সূর্যবংশী অভিষেকে প্রথম বোলার হিসেবে পেয়েছেন শার্দুল ঠাকুরকে। ভারতের হয়ে ৮৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই পেসারের মুখোমুখি হয়ে প্রথম বলকেই কাভারের ওপর দিয়ে ছয় মারেন সূর্যবংশী।
আইপিএলে সবচেয়ে কম বয়সে ছক্কা মারার রেকর্ডও এখন তাঁরই। এত দিন রেকর্ডটা ছিল রিয়ান পরাগের, যিনি প্রথম ছক্কা মেরেছিলেন ১৭ বছর ১৬১ দিন বয়সে। আবার সবচেয়ে কম বয়সে চারের রেকর্ডও সূর্যবংশীর। যেটা ছয় বছর ধরে ছিল প্রয়াসের নামে।
২০ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন সূর্যবংশী।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।