স্মার্টফোনে জায়গার সংকট এখন অনেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি নিত্যদিনের সমস্যা। উন্নত ক্যামেরা, উচ্চমানের ভিডিও এবং নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের কারণে ফোনের অভ্যন্তরীণ ধারণক্ষমতা দ্রুত কমে যায়। কিন্তু ধারণক্ষমতার ৯০ শতাংশের বেশি অংশ পূর্ণ হয়ে গেলে ফোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর ফলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি হঠাৎ হ্যাং হয়ে যায়। ফোনের জায়গা খালি করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইল মুছে না ফেলেও জায়গা খালি করার চার কৌশল দেখে নেওয়া যাক।

১.

অ্যাপের ক্যাশ মেমোরি ও অব্যবহৃত তথ্য মুছে ফেলা

ফোনে ব্যবহৃত সব অ্যাপই নিয়মিত তথ্য জমা করতে থাকে। এসব তথ্য ফোনের ক্যাশ মেমোরিতে জমা হয়। আর তাই অ্যাপের ক্যাশ মেমোরি নিয়মিত মুছে ফেলে ফোনের জায়গা খালি করা যায়। এ জন্য প্রথমে ফোনের সেটিংস অপশনে ট্যাপ করে অ্যাপস নির্বাচন করতে হবে। এরপর অ্যাপ অপশনে ট্যাপ করে স্টোরেজ নির্বাচনের পর ক্লিয়ার ক্যাশে ক্লিক করতে হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা ভালো রাখার ৭ উপায়২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫২. অপ্রয়োজনীয় ও পুরোনো ফাইল মুছে ফেলা

অনেকে ফোনে সিনেমা বা ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখলেও সেগুলো দেখেন না। কেউ আবার আকারে বড় অ্যাপ ইনস্টলেশন করার পর সেগুলো ব্যবহার করেন না। এসব সিনেমা, ভিডিও বা অব্যবহৃত অ্যাপের কারণে ফোনের খালি জায়গার পরিমাণ কমে যায়। আর তাই ফোনের জায়গা খালি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, তথ্য, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইল ছাড়া বাকি ফাইল মুছে ফেলত হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন শতভাগ চার্জ করা ভালো না খারাপ১৪ মার্চ ২০২৫৩. লাইট অ্যাপ বা ওয়েব সংস্করণ ব্যবহার

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাপগুলো বেশি জায়গা দখল করে থাকে। ফলে এ ধরনের একাধিক অ্যাপের কারণে ফোনের অভ্যন্তরীণ ধারণক্ষমতা দ্রুত কমে যায়। আর তাই ফোনের জায়গা দ্রুত খালি করার জন্য প্রয়োজনে এসব অ্যাপের ‘লাইট’ সংস্করণ ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার থাকার ৬ লক্ষণ১১ নভেম্বর ২০২৪৪. ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার

ফোনের জায়গা খালি করার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হতে পারে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার। কারণ, গুগল ড্রাইভ এবং আই ক্লাউডের মাধ্যমে ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টসহ নানা ধরনের ফাইল অনলাইনে সংরক্ষণ করা যায়। আর তাই ফোনের জায়গা খালি করার জন্য আকারে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও এবং ছবিগুলো গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটোজসহ বিভিন্ন ক্লাউড স্টোরেজ সেবায় সংরক্ষণ করে ফোন থেকে মুছে ফেলতে হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনস্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে১৪ জানুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র জন য ব যবহ র আর ত ই

এছাড়াও পড়ুন:

বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ

বিকাশ অ্যাপে লেনদেন করে তার তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঠানো এখন আরও সহজ, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। বিল দেওয়া, পেমেন্ট, বিশেষ করে কাউকে টাকা পাঠানোর পর স্ক্রিনশট শেয়ার করার বিষয়টি চর্চিত এবং প্রায় অবধারিত। গ্রাহকের এই প্রয়োজনকে সহজ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে এক-ক্লিকেই শেয়ার অপশন।

বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ডমানি করার সাথে সাথেই স্ক্রিনে শেয়ার অপশন দেখতে পান গ্রাহক। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে এবং যে অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, ট্রানজেকশন আইডি, টাকার পরিমাণ, সময়-তারিখ এবং রেফারেন্স -এই তথ্যগুলো শেয়ার স্ক্রিনে দেওয়া থাকে। গ্রাহক এক ট্যাপেই হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ই-মেইলসহ যেকোনো পছন্দের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তথ্য শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে তথ্য শেয়ারের সময় গ্রাহকের সবশেষ ব্যালেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্সের তথ্য থাকে সুরক্ষিত।

কোনো গ্রাহক এই শেয়ার অপশন না ব্যবহার করে স্ক্রিনশট দিয়ে তথ্য শেয়ার করতে চাইলেও বর্তমান ব্যালেন্সকে এক ট্যাপেই হাইড করা সম্ভব। বর্তমান ব্যালেন্সের ঠিক পাশেই থাকা ‘আই’ (চোখ) -আইকনে ক্লিক করে বর্তমান ব্যালেন্স হাইড করে রাখতে পারেন।

অনেক গ্রাহক আছেন যারা ম্যাসেজ পাঠানো বা শেয়ারের চেয়ে কল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেসব গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে টাকা পাঠানোর সাথে সাথে পরের স্ক্রিনেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি কল করার অপশনও যুক্ত করা হয়েছে। এতে আর ঐ ব্যক্তিকে কন্টাক্ট লিস্টে গিয়ে কল করতে হয় না। ফলে তার সময় বাঁচে। গ্রাহক পেয়ে যান বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য।

অনেক গ্রাহক আছেন লেনদেন করার পর কেবল ট্রানজেকশন আইডিটি কপি করে কাউকে পাঠান বা কোনো ফরম পূরণ করতেও ব্যবহার করেন। তেমন গ্রাহকদের জন্য এই স্ক্রিনেই কেবল ট্রানজেকশন আইডি কপি করার সুযোগ রয়েছে। ট্রানজেকশন আইডির পাশেই ‘কপি’ চিহ্নিত আইকন ট্যাপ করলেই নম্বরটি ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যায়। পরে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো উইন্ডোতে পেস্ট করে তথ্যটি কাজে লাগাতে পারেন।

একইভাবে, পেমেন্ট, বিল পে সহ অন্যান্য তথ্য সহজেই শেয়ার করতে পারছেন গ্রাহক। বর্তমান সময়ে এসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা। গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় তাই এমন ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ সেবার সংযোজনে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজে লাগানোর সাথে সাথে তার সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিকাশে লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরো সহজ ও নিরাপদ
  • বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ