একদিনের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
Published: 20th, April 2025 GMT
রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষিত একদিনের ইস্টার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে। রবিবার উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শত শত হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হাজার হাজার রুশ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া পুতিন রবিবার মস্কোর সময় মধ্যরাত পর্যন্ত সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ইস্টার যুদ্ধবিরতি পালনের ভান করছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শনিবার রাতে শত শত কামান হামলা চালিয়েছে। রবিবার আরো আক্রমণ চালিয়েছে।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রাশিয়া স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ২৬টি হামলা চালিয়েছে।
তিনি লিখেছেন, “হয় পুতিনের তার সেনাবাহিনীর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই অথবা পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করার জন্য প্রকৃত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই এবং তারা কেবল অনুকূল জনসংযোগ কভারেজ পেতে আগ্রহী।”
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন এক হাজারেরও বেশি বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যার ফলে অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী ৪৪৪ বার রাশিয়ান অবস্থানে গুলি চালিয়েছে এবং তারা ৯০০ টিরও বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা গণনা করেছে, যার মধ্যে ক্রিমিয়া ও ব্রায়ানস্ক, কুরস্ক এবং বেলগোরোড অঞ্চলের রাশিয়ান সীমান্তবর্তী এলাকায় আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস