ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী অসংক্রামক রোগ, আমরা এতদিন জানতাম এই রোগটি চারটি ধরনের হয়ে থাকে, তার মধ্যে টাইপ ২ সবচেয়ে বেশি, সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (IDF)’ টাইপ ৫ ডায়াবেটিস নামে এক নতুন ধরনের ডায়াবেটিস চিহ্নিত করেছে, যা মূলত তরুণদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

টাইপ ১ সাধারণত শিশু বয়সে শুরু হয়, যেখানে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। টাইপ ২ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের হয় এবং এতে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করে না। অপরদিকে, টাইপ ৫ ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের হার খুবই কম থাকে। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব শিশু বা কিশোর অপুষ্টিতে ভোগে বা যাদের ওজন খুব কম, তাদের টাইপ ৫ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে যাদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮.

৫-এর নিচে, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ে।

এ ধরনের ডায়াবেটিস আফ্রিকা ও এশিয়ার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৫ মিলিয়ন রোগী  টাইপ-৫ এ আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টাইপ ৫ ডায়াবেটিসের উপসর্গ অনেকটাই অন্যান্য ডায়াবেটিসের মতো, যেমন সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়া, শরীরের ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া, ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া, আর যেহেতু অল্প বয়সে অর্থাৎ তরুণ- তরুণীরা বেশি আক্রান্ত হয় তাই অনেক সময় এই লক্ষণগুলো দেখে ভুলভাবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস ধরে নেওয়া হয়। 

এ ধরনের ডায়াবেটিসের চিকিৎসার বিষয়ে এখনও গবেষণা চলমান। এই টাইপের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন এখনো নেই। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব, যেমন: উচ্চ প্রোটিন ও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি দূর করা, নিয়মিত খেলাধুলা বা শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত  ঘুমের মাধ্যমে সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা। 

(ডা: আল ওয়াজেদুর রহমান, পরিচালক, সিদ্ধিরগঞ্জ ডায়াবেটিস সেন্টার)
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ