অ্যাথলেটিক বিলবাওর বিপক্ষে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফেদেরিকো ভালভার্দের করা চমৎকার এক গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রবিবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যোগ করা সময়ে পাওয়া জয়ে লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে রইলো লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের ৯০+৩ মিনিটের মাথায় ভালভার্দে তার বাম পায়ে নেওয়া দুর্দান্ত এক হাফ-ভলিতে বল জালে জড়ান। দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে রিয়ালের লাগাতার আক্রমণের ফলস্বরূপ আসে এই গোলটি।
এটি ছিল এই মৌসুমে ভালভার্দের ষষ্ঠ লিগ গোল। তবে, গেল বছরের ডিসেম্বরে সেভিয়ার বিপক্ষে করা গোলের পর এটাই তার প্রথম।
এই জয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলো রিয়াল মাদ্রিদ, হাতে আছে আরো ছয়টি ম্যাচ।
আর্সেনালের কাছে ৫-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার পর কঠিন সময় পার করছিল রিয়াল। তবে এই জয় দিয়ে দলটি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং লিগ শিরোপা জয়ের আশা এখনও টিকিয়ে রেখেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ করেও বিলবাওয়ের গোলরক্ষক উনাই সিমনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে গোল পাচ্ছিল না রিয়াল। ক্যামাভিঙ্গার শট এবং জুদ বেলিংহামের হেড সেভ করে দলকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখেন তিনি।
খেলার ১১ মিনিট বাকি থাকতে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের নিখুঁত শট গোলপোস্টে পাঠালেও ভিএআর দেখে সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ, তার আগে এন্ড্রিক সামান্য অফসাইডে ছিলেন। পরে বেলিংহামকে ফাউল করা হলেও তা গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ায় রিয়াল ভক্তদের হতাশ হতে হয়।
ভিনিসিউস ও বেলিংহামের পাশাপাশি ভালভার্দেও দুইবার গোলের কাছে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে দুর্দান্ত এক গোল করে তিনি আনচেলত্তির চাপ কিছুটা কমিয়ে দেন। এখন রিয়ালের পরের লক্ষ্য হলো শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারানো।
উল্লেখ্য, লাল কার্ড দেখে নিষিদ্ধ হওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে অবশ্য এই ম্যাচে খেলেননি। তবে কোপা দেল রের ফাইনালে খেলতে পারবেন তিনি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”
বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”
অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”
অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।
ঢাকা/লিমন/ইভা