ছয় দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান ফটকসহ ছয়টি দপ্তরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে দেন। 

এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন। ভেতরে থাকা কর্মকর্তাদের বের হওয়ার জন্য ১০ মিনিট সময় দেন তারা। 

প্রতিষ্ঠানটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সালমান আহম্মেদ তুষার জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে তারা প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়েছেন, যা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো.

আবু হানিফকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। 

এর আগে গত রবিবার বিকেলে রাজশাহী পলিটেকনিক মাঠে সমাবেশ শেষে প্রশাসনিক ভবনগুলোতে তালা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। একই দাবিতে গত শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ও সার্ভে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেন।

এছাড়া গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিন রাজশাহী নগরের রেলগেট ও ভদ্রা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

কেয়া//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন। 

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।

অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”

বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”

অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”

অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।

ঢাকা/লিমন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ