অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি মানেই খোলামেলা আলোচনা। কেনো রাখডাখ না রেখেই সব বলে দিতে পারেন। সিনেমার মত তার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ সিনেমাটিক। জীবনে বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই আবেদনময়ী নায়িকা। আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা নেই। 

কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, জীবনে ছয়বার সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। স্বস্তিকার এই মন্তব্য ঘিরে নেটিজেনরা নানা চর্চা শুরু করেন। এবার সেসব চর্চার জবাবে অভিনেত্রী বলেন,  ৬টা নয়, ৬০০টা প্রেম করেছেন তিনি!

 স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘৬টা নয়, আমি ৬০০টা প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছি। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরো একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।’

চর্চা-সমালোচনার তোয়াক্কা করেন না অভিনেত্রী। সেই সুরে বললেন, “আমার জীবন, যদি আমার মনে হয় যে ছয় হাজার মানুষকে ভালোবাসা জ্ঞাপন করব, তাহলে বেশ করব। আমি তো বলছি না যে আমি ছয়টা লোককে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব, ধর্ষণ করব, তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব বা কাজ করিয়ে পয়সা দেব না। আমাদের আশপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব, তাতেও মানুষের সমস্যা। তাহলে যা হচ্ছে আশপাশে তা-ই হোক।’ সমাজে নারীদের প্রেম নিয়েই সমস্যা। পুরুষরা এসব চর্চার আওতার বাইরে।

এমনটা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য এটা মহিলা বলেই হয়। ছেলেরা করলে আমরা তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ।’ ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে, ‘ভাই এলেম আছে।’ এই সমাজে আমরা বাস করছি।”

অভিনেত্রীর মতে, মৃত্যুর আগে তিনি আরো প্রেম করতে চান। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চান। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার আছে, তা দিতে চান। লিফলেটের মতো বিলি করতে চান। জীবনটা পরিপূর্ণ করেই মরতে চান এ অভিনেত্রী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র স বস ত ক ম খ র জ প র ম কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ