২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না
Published: 23rd, April 2025 GMT
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগেও আলোচনা ছিল এ নিয়ে। তখনো চলছিল জাতীয় দলের জার্সিতে লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এপিটাফ লেখা। বয়সে পিছিয়ে থাকায় বাকি দুজনের মতো না হলেও চোটের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ক পাতানো নেইমারও ছিলেন এ আলোচনায়।
মনে করা হয়েছিল, কাতার বিশ্বকাপ শেষেই হয়তো জাতীয় দলের জার্সিটা তুলে রাখবেন তাঁরা তিনজন। সেই বিশ্বকাপের আগেই মেসি বলে দিলেন, বিশ্বকাপে ব্যর্থতা মানে সেখানেই ইতি। নিজেরা কিছু না বললেও রোনালদো-নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনার ধারাটা ছিল এমনই।
এরপর যথারীতি শেষ হলো বিশ্বকাপ। ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরে আর্জেন্টিনা জিতল বিশ্বকাপ। অমরত্বকে আলিঙ্গনের পর ট্রফি নিয়ে উদ্যাপন করতে করতে মেসি ফিরে গেলেন বুয়েনস এইরেসে। আর্জেন্টাইনদের হর্ষধ্বনিতেই বাতাসে মিলিয়ে গেল মেসির অবসর-আলাপও। মেসির ঠিক উল্টো দিকে ছিল রোনালদো-নেইমারের অবস্থান। ব্যর্থতা নিয়ে কান্নাভেজা বিদায়ের পর হতাশাই তখন এই দুজনের সঙ্গী।
কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে রোনালদো যখন টানেল দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, এটাকে বিশ্বমঞ্চে তাঁর বিদায়ী ছবি হিসেবেই দেখেছে ফুটবল–বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁর জন্য বিদায়-অর্ঘ্য দিয়ে যাচ্ছিল। সবখানেই শেষটা রাঙাতে না পারার আক্ষেপ। রোনালদো অবশ্য নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখে কুলুপ দিয়ে রেখেছিলেন। আর শেষ আট থেকে বিদায়ের পর নেইমার বলেছিলেন, বিশ্বকাপ দূরের ব্যাপার, আর কখনো ব্রাজিলের হয়ে না–ও খেলতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুনপেনাল্টিতে সবচেয়ে বেশি গোল কার—মেসি, রোনালদো নাকি নেইমারের ২৩ নভেম্বর ২০২৪ওপরের গল্পগুলো অবশ্য এখন দূর অতীতের। বিশ্বকাপের উত্তেজনা, সাফল্য-ব্যর্থতার তাৎক্ষণিক প্রভাব এবং বয়স—ছন্দের প্রভাব এসব আলাপে বেশ স্পষ্ট ছিল। ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে এই তিনজনের ভাগ্য জানতে আরেকটু অপেক্ষা করতেই হচ্ছিল।
তবে এ মুহূর্তে, অর্থাৎ ২০২৬ বিশ্বকাপের এক বছর বাকি থাকতে তিনজনের বিশ্বকাপ-ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। অতীতে যাঁর যেমনই অবস্থান থাকুক, তাঁরা তিনজনই যে ২০২৬ বিশ্বকাপে চোখ রেখেছেন, বলাই যায়।
ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এখনো ভীষণ জনপ্রিয় নেইমার, মেসি ও রোনালদো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র
এছাড়াও পড়ুন:
মাতারবাড়ি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার ট্যারিফ অনুমোদন
বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮.৪৪৭৫ টাকা। এ কেন্দ্র থেকে ৩০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে মোট ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
মাতারবাড়ি ৬০০¬X২ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। বাবিউবোর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য সিপিজিসিবিএল ও বাবিউবোর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদে স্বাক্ষরিতব্য পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্যারিফ স্ট্রাকচার ও লেভেলাইজড ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকায় কেনার চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হিসাবে ৩০ বছর মেয়াদে সিপিজিসিবিএল-কে আনুমানিক ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমান ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে চূড়ান্ত ব্যয় হিসাব করে পুনরায় ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।
সিপিজিসিবিএল সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ লাভ হবে, তা সরকারের লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রথম সংশোধিত ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয় ২০২১ সালের ২৩ নভম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশন।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক