চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। অবরোধের এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় চালকদের ছোড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ৯টা থেকে সেখানে সড়ক অরবোধ করে রাখা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সকালে শতাধিক অটোরিকশাচালক কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে বাহির সিগন্যাল এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা অটোরিকশা জব্দ ও বন্ধের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। শুরু থেকে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে বিক্ষুব্ধ চালকেরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়েন। এরপর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের একটি দল সেখানে উপস্থিত হলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বাহির সিগন্যাল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। সেখানে কোনো গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। সড়কের ওপর ইটের ভাঙা অংশ ও পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। একজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অটোরিকশা বন্ধে গত চার দিনে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত রবি থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ৬০০ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে ট্রাফিক বিভাগ। এ ছাড়া বিভিন্ন চার্জিং স্টেশনকে জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবর ধ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ