বার্সার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমাল রিয়াল
Published: 24th, April 2025 GMT
ম্যাচ জিততে না পারলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে লা লিগা শিরোপা হারানোটা নিশ্চিত হয়ে যেত। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মায়োর্কার বিপক্ষে বার্সার ১-০ ব্যবধানে জয়ের পর, রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের কোন বিকল্পই ছিল না। আরদা গুলারের প্রথমার্ধে করা এক চমৎকার গোলে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে গেটাফের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে।
এই জয় রিয়ালের লা লিগা শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে এখনো। স্প্যানিশ লিগে পাঁচটি ম্যাচ বাকি থাকতে বার্সেলোনার থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে আছে লস ব্ল্যাঙ্কসরা।
গেটাফের মাঠ কলিসিউম স্টেডিয়ামে রিয়াল প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেই প্রথম একাদশ সাজায়। শনিবার বার্সার বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালের কথা মাথায় রেখে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিলেন ক্লাবটির ইতালিয়ান বস আনচেলত্তি। তবুও মাদ্রিদ ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে।
আরো পড়ুন:
বড় ধাক্কা বার্সেলোনায়
৩-১ এ পিছিয়ে পড়েও বার্সার ধ্রুপদী জয়
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে হারের সময় গোড়ালির চোটে পড়া ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন। আনচেলত্তি জুড বেলিংহ্যাম, রদ্রিগো, লুকা মদ্রিচ, আন্তোনিও রুডিগার এবং এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকেও বেঞ্চে রেখেই ম্যাচ শুরু করেন।
তবুও রিয়াল সুসংগঠিত পারফরম্যান্স দেয়। ম্যাচের ২০তম মিনিটে তুরস্কের মিডফিল্ডার গুলারের বক্সের প্রান্ত থেকে নেওয়া চমৎকার শটে এগিয়ে যায় রিয়াল। যদিও গুলারের গোলের পর গেটাফের পাঁচজন ডিফেন্ডারের কৌশলগত রক্ষণভাগ ভেদ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বাম প্রান্ত দিয়ে খেলা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গেটাফের রক্ষণের জন্য সমস্যা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। গেটাফে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া তাকে দুইবার দারুণভাবে প্রতিহত করেন। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে ভিনি স্বদেশী ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এন্দ্রিককে বল বাড়ান, কিন্তু ডিফেন্ডার জেনে গোললাইন থেকে দুর্দান্ত ক্লিয়ার করেন।
বিরতির পরও মাদ্রিদ খেলার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে, যেখানে সোরিয়া ঠেকিয়ে দেন ব্রাহিম দিয়াজের একটি বাঁকানো শট ও ভিনিসিয়ুসের একটি জোরালো প্রচেষ্টা। মাদ্রিদ ক্লান্ত হতে শুরু করলে, গেটাফে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করতে থাকে এবং ৭২তম মিনিটে বোরহা মায়োরালের দারুণ পাস পেয়ে মাউরো আরামবার্রি একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন।
শেষ মুহূর্তে রিয়াল দ্বিতীয় গোলের জন্য চাপ বাড়ালে তারা পাল্টা আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে, কিন্তু থিবো কোর্তোয়া ওমর আলদেরেতে ও হুয়ানমির দুটি দারুণ শট ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এক মাস পর এটি ছিল মাদ্রিদের টানা দ্বিতীয় জয়। আনচেলত্তি আশা করছেন এই জয়ের ধারাবাহিকতা তারা কোপা দেল রে ফাইনালেও ধরে রাখতে পারবে।
এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ৭২ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের থেকে নয় পয়েন্ট এগিয়ে তারা, যদিও লস রোজাব্ল্যাঙ্কসরা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তারা রায়ো ভাইয়েকানোর মুখোমুখি হবে। শীর্ষে থাকা বার্সার সংগ্রহ ৭৬ পয়েন্ট।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন