ভারতের সবচেয়ে ধনী শিশুশিল্পীকে চেনেন?
Published: 25th, April 2025 GMT
স্টুডিওতে বসে আছেন অভিনেত্রী রিভা আরোরা। ব্যাকগ্রান্ডে বাজছে ‘জান চার ইয়ার’ সিনেমার ‘হোয়াট দ্য লাক’ গানটি। এ গানের শিল্পী মিকা সিং। কিছুক্ষণ পর রিভার কাছে আসেন মিকা। তারপর এ গানের তালে রিভার সঙ্গে রোমান্সে মেতে উঠেন মিকা সিং।
বেশ পুরোনো একটি ভিডিওতে রিভা-মিকার রোমান্সের দৃশ্য দেখা যায়। আড়াই বছর আগে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ফলে তুমুল বিতর্কে জড়ান মিকা। কারণ রিভা ৪৭ বছর বয়সি মিকার চেয়ে ৩৩ বছরের ছোট। অর্থাৎ রিভার বয়স এখন ১৪ বছর।
ভারতীয় শিশুশিল্পীদের নাম উঠলে সামনে আসে আহসান চান্না, আমান সিদ্দিকী, দার্শিল সাফারি, সানা সাইদ, জিবরান খান, সিদ্ধার্থ নিগমের মতো তারকাদের নাম। মজার ব্যাপার হলো— এসব শিশুশিল্পীদের অর্থনৈতিকভাবে ছাড়িয়ে গিয়েছেন রিভা আরোরা। এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী শিশুশিল্পী এই ক্ষুদে তারকা।
গত ১০ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে ‘পাওয়ার অব পাঁচ’ সিরিজের ট্রেইলার। বালাজি টেলিফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই সিরিজে অভিনয় করেছেন রিভা আরোরা। জানা যায়, সিরিজটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
রিভা আরোরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুণ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তাকে ১১.
ইন্ডিয়া ডটকম, ডিএনএ, জিকিউ ডটকমের তথ্য অনুসারে, রিভা আরোরার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮.২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বেশি)। ভারতের সবচেয়ে ধনী শিশুশিল্পী ছিলেন সারা অর্জুন। ২০২৩ সালের জুনে ১৮ বছর বয়সে পা দেওয়ায় এই তকমা হারান তিনি। তার জায়গা দখল করে নেয় রিভা।
রিভার বয়স অনুসারে তার শারীরিক বৃদ্ধি নজরে পড়ার মতো। ফলে এ নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন, সিন্থেটিক গ্রোথ হরমোন ইনজেকশনের মাধ্যমে রিভা নিজের শারীরিক গঠনের বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। যদিও তা প্রমাণিত নয়। এজন্য তার বয়স নিয়েও বিতর্কের অবসান ঘটেনি।
তবে কয়েক বছর আগে রিভার বয়সের বিষয়ে ইঙ্গিত করে তার মা বলেছিলেন, “আমার মেয়ে এখন দশম শ্রেণিতে পড়ে। ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে রিভা। অত্যন্ত সততা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করেছে সে।”
রিভা অভিনীত ‘উরি’ সিনেমাটি ২০১৯ সালে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় রিভার কান্নার দৃশ্যটি দর্শকের মন কেড়েছিল। জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’ সিনেমায় ছোট গুঞ্জনের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ায় রিভা।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সবচ য় অন স র র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল