ডিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে আলোচিত দৃশ্য ‘অভিনয়’ করিয়ে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের সামনে আনা এবং বিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহে নাম-ছবি প্রকাশ নিয়ে বিসিবির কঠোর সমালোচনা করেছেন তামিম ইকবাল। তার ভাষায়, এমন ঘটনা শুধু অপমানজনকই নয়, পুরো ক্রিকেটার সমাজকে ছোট করার শামিল। আজ শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।  

সম্প্রতি গুলশান ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহে দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানান তামিম।  

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বোর্ডকে জানিয়েছি, দুর্নীতি হয়ে থাকলে যার দোষ, তার শাস্তি হোক—এতে আমরা একশ ভাগ একমত। কিন্তু এর মানে এই না যে, মিডিয়ার সামনে দুই ক্রিকেটারকে দিয়ে সেই ঘটনা অভিনয় করানো হবে। এটা বিশ্বের কোনো অ্যান্টি-করাপশন নিয়মে নেই। এটা অপমানজনক।’  

তামিম আরও বলেন, ‘সেই অভিনয় দেখিয়ে দুজনকে মিডিয়ার সামনে অপমান করা হয়েছে। বিষয়টা আমাদের ভালো লাগেনি। এটা ছিল সম্পূর্ণ ক্রিকেটারদের প্রতি অসম্মান।’  

এছাড়া বিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহে ক্রিকেটারদের নাম ও ছবি প্রকাশ নিয়েও বিসিবির ওপর ক্ষুব্ধ সিনিয়ররা। তামিম বলেন, ‘বিপিএলেও একটা ঘটনা ঘটেছে। বিসিবির ভেতর থেকে ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে। ১০ জনের ছবি দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়াতে। ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয় আমরা সব ক্রিকেটাররা চাই ওর শাস্তি হোক। কিন্তু এখান থেকে যদি ২ জন বা ৮ জন নির্দোষ হয়? এভাবে নাম প্রকাশ করা ক্রিকেটারদের অসম্মান। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম।’

তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সাথে এভাবে করলে হয় না। বোর্ড প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলাম আসার জন্য, উনি এসেছেন। সাথে আরও ২ জন বোর্ড পরিচালক ছিলেন। লম্বা আলোচনা হয়েছে। বলেছি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, আমাদের জানান। যেহেতু কাল খেলা। আমার মনে হয় খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ড প এল র স মন অপম ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘পিআর পদ্ধতি নয়, গতানুগতিক যে পদ্ধতিতে মানুষ অভ্যস্ত আমরা সেটা চাই’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘‘আমরা সব সময় এক কথার মধ্যে রয়েছি। পিআর পদ্ধতি নয়, গতানুগতিক যে পদ্ধতিতে মানুষ অভ্যস্ত আমরা সেটা চাই।’’

তিনি বলেন, ‘‘যে এলাকার নেতা, ওই এলাকার লোকজন তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। এ সময় যারা নিয়মের ব্যত্যয়ের কথা বলে, তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’

শুক্রবার (১ আগস্ট) টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন টুকু এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক

রাকসু থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে যারা

তিনি বলেন, ‘‘এ দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার চায়। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন করেছি। আমরা ক্ষমতায় যাব এ কথা বলি না, আমরা মানুষের ভোটের অধিকার ফেরত দিতে চাই। মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। দেশের মানুষ হচ্ছে এই দেশের মালিক। জনগণই ঠিক করবে-কে এই দেশ পরিচালনা করবে।’’

দ্যা ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার মির্জা শাকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দ্যা প্রেসিডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জুলফিকার আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ