Samakal:
2025-11-02@12:13:15 GMT

ঘরে ও বাইরে নারীর সংগ্রাম

Published: 26th, April 2025 GMT

ঘরে ও বাইরে নারীর সংগ্রাম

শিক্ষাজীবনে ডিগ্রি পাস করা আছিয়া বেগম (ছদ্মনাম) বর্তমানে গৃহিণী। স্বামী-সন্তান নিয়ে তাঁর সংসারজীবন। স্বামীরা তিন ভাই হলেও গ্রামের বাড়িতে থাকার কারণে শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখার ভার আছিয়ার কাঁধে পড়ে। গত তিন বছর ধরে তাঁর শ্বশুর অসুস্থ। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন।
প্রথম দুই বছর সংসারের কাজ এবং দেখাশোনার কাজ একাই করতেন। এক সময় তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁর জন্য একজন সাহায্যকারী রাখা হয়। তবুও সংসারের বেশির ভাগ কাজ করতে হয় আছিয়াকে।
২০২৩ সালে আছিয়ার শ্বশুর মারা যান। আছিয়া খোঁজ পান ঢাকার কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ কেয়ারগিভিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (বিসিটিটিআই) কেয়ারগিভিং-এর প্রশিক্ষণ এবং জাপানি ভাষা শেখানো হয়। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, এ দুটো কাজ জানা থাকলে তিনি জাপানে চাকরি করতে পারবেন।
আছিয়া বেগমের কাছে কিছু টাকা ছিল। তিনি সে টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তী সময়ে জাপানে উচ্চ বেতনে কাজ পান। গত তিন বছরে শ্বশুরের জন্য বিনা বেতনে ভালোবেসে যে কাজ করেছেন আছিয়া, সেখানে তিনি সম্মান পাননি। সেই একই কাজ এখন দেশের বাইরে গিয়ে করতে পারছেন। সম্মান এবং টাকা দুটোই মিলছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ অনুযায়ী, কৃষিতে নারীর অবদান পুরুষের তুলনায় বেশি। নারীর কৃষি কাজে অবদান ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং পুরুষের ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে, শিল্পকারখানা এবং হোয়াইট কলার কাজে নারীর অবদান শূন্যের কোঠায় না হলেও পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ কম। হোয়াইট কলার কাজ হলো, যারা ডেস্কে কাজ করেন।
পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা কাজ করছেন। তবুও নারীর সম্মান অধরা। অর্থনীতিতে কাঠামোগত কী পরিবর্তন করলে নারীর সম্মান বাড়তে পারে। এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, ‘সম্মানের অনেক স্তর রয়েছে। নারীর সম্মান অবশ্যই বেড়েছে। তবে অর্থনীতিতে নারীর যে পরিমাণ অংশগ্রহণ, সে পরিমাণ সম্মান তারা পান না। তাদের এখন কথা বলার অধিকার হয়েছে। তারা মতামত দিতে পারেন। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কম। অবস্থার পরিবর্তন খুব ক্ষীণ হলেও, পরিবর্তন হচ্ছে। এটি রাতারাতি বেড়ে যাবে, ভাবা ভুল।
নারীর অনেক কাজ এখন জিডিপি এবং জিএসপিতে অবদান রাখছে। যেমন– হস্তশিল্প, কেয়ারগিভার এবং নানা ধরনের কায়িক শ্রমের কাজ। অনেক ক্ষেত্রে নারী রেমিট্যান্সযোদ্ধা হিসেবেও কাজ করছেন। তারা পিছিয়ে পড়ছেন দুটি কাঠামোগত কারণে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, নারী যে পরিমাণ শিক্ষিত সে অনুযায়ী চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। প্রথমত, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা কাঠামোগতভাবে আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। ফলে নারী যোগ্য হলেও যথাযথ কাঠামো না থাকার কারণে তাকে সে সব দায়িত্বে ডুবে যেতে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সমাজে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। যেমন ব্যবসাক্ষেত্রে চাঁদাবাজি বা একজন নারী সহজে যেন দোকান ভাড়া পান এবং নিরাপদে ব্যবসা করার পরিবেশ এগুলো নিশ্চিত করলে নারীর অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড উইমেন স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.

সোমা দে বলেন, ‘নারী অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কিন্তু তাঁকে একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর শ্রম  অর্থনীতির প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার সেই কাজ ঘরেও বিনামূল্যে বা সহানুভূতিহীনভাবে করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একজন নারী সংসার এবং চাকরি দুটোই সমানভাবে চালান। সে দুই জায়গায় দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যান। তিনি পরিচিত হন গৃহিণী হিসেবে। তিনি তাঁর মেধার মূল্যায়ন পান না– এটি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যা। এ থেকে উত্তরণের উপায় হলো জেন্ডার সমতা এবং ন্যায্যতা তৈরি করা। যেটি শুরু হবে পরিবার এবং সমাজ থেকে।’
বিশ্বব্যাংকের ‘নারী, ব্যবসা ও আইন-২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সমাজে নারীর আয় এখন আর সেকেন্ডারি বিষয় না, এটি অপরিহার্য। শুধু পারিবারিক ও সামাজিক প্রয়োজনে নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও দরকার। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুসারে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৩৪ হাজার বেশি। দেশে সংখ্যায় নারী বেশি হলেও শ্রমক্ষেত্রে সুযোগ কম। অনেক নারী উদ্যোক্তা ব্যবসায় আসছেন। তারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকারও হচ্ছেন। তাদের অনেকেই পড়াশোনায় পিছিয়ে আছেন, মূলধন কম, সহজে ঋণ পাচ্ছেন না, আছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও পারিবারিক চাপ।
অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রবেশ বাড়লেও কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও উপযোগী কাজের পরিবেশের অভাবসহ নানা কারণে নারীরা শ্রমবাজারের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। শহরে নারী ও পুরুষের কাজের অসমতার হার আগের চাইতে বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, কর্মদক্ষ নারীর যতজন শ্রমশক্তিতে থাকার কথা, ততটা নেই।
শহরাঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হারানো নারীর একটা বড় অংশ গ্রামে ফিরে গিয়ে নিম্ন মজুরি বা মজুরি ছাড়াই পরিবারের কৃষি ও গৃহস্থালি কাজে যুক্ত হচ্ছেন। তাদের অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।
কৃষিক্ষেত্রে শ্রম কম মূল্যায়িত বলে সেখানে নারীর অংশগ্রহণ বেশি। অথচ অসমতা দূর করতে হলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে শিল্প ও সেবা খাতে। নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে লিঙ্গভিত্তিক অসমতা থেকে মুক্তি নাই। 
সরেজমিনে দেখা যায়, নারী কর্মক্ষেত্রে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে নারী বেশি বৈষ্যমের শিকার হন। একই কাজ নারী করলেও পুরুষের তুলনায় কম পারিশ্রমিক পান।
এ প্রসঙ্গে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য কল্পনা আখতার বলেন, ‘নারী আজ শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কর্মক্ষেত্রে সমানভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। তারা দক্ষতা ও মেধার দিক থেকে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তবুও সমাজে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা এখনও অধরা। কর্মক্ষেত্রে নারীর পরিশ্রমকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না; বরং যৌনতা ও শারীরিক গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হয়। নির্মাণকাজ কিংবা ইটভাটার মতো কঠিন শারীরিক পরিশ্রমে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও নারী পুরুষের তুলনায় কম মজুরি পান, যা স্পষ্টভাবে বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ।’
এ সমস্যার মূল কারণ হলো– দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণতা এবং জেন্ডার সচেতনতার অভাব। নারীর সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যেখানে নারীকে কেবল মেধাবী কর্মী হিসেবে নয়, একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে দেখা হবে। কর্মক্ষেত্রে সমান মজুরি ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও স্বাস্থ্যজনিত প্রয়োজনকে সহানুভূতির সঙ্গে মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে নারী অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি দরকার মনোভাবের পরিবর্তন, তবেই নারীর সম্মান নিশ্চিত হবে।
ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের প্রধান মাসুমা বিল্লাহ বলেন, ‘ছেলেরাও অনেকে শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে। তাদের একজন নারীর থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি আমাদের সমাজের সমস্যা। একটি ছেলে দিনে পাঁচবার সিগারেট খেলে সময় নষ্ট হয় না। অথচ নারী মাসে বিশেষ সময়ে অসুস্থ থাকলে প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষতি হচ্ছে– এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’ v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত করত র পর ব ক জ কর র জন য ব যবস অবদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের নোবলনগর এলাকায় গতকাল বুধবার গাড়ির নিচে পড়ে গিয়েছিল তিন বছরের এক শিশুকন্যা। তবে অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে সে।

অভিযোগ উঠেছে, এক কিশোর গাড়িটি চালাচ্ছিল। এ ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গাড়িতে নম্বর প্লেট ছিল না, যা আইন লঙ্ঘনের শামিল। পুলিশ ঘটনার পর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন শিশুটি তার বাড়ির বাইরে রাস্তায় খেলা করছিল। কিশোর চালকটি তাকে দেখতে না পেয়ে তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করার পর চালক গাড়িটি থামায়। সঙ্গে সঙ্গে লোকজন জড়ো হয়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাড়ি থামানোর পর ভীতসন্ত্রস্ত শিশুটি চিৎকার করতে করতে গাড়ির নিচ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে চালকও বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর একজন নারী ওই কিশোর চালককে চড় মারছেন। এ সময় শিশুটি হাঁটাচলা করতে পারছিল।

আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তারা চালকের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ‘জি’ ডিভিশন ট্রাফিক থানায় বিএনএস আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটি সড়কের নিরাপত্তা এবং আবাসিক এলাকায় আরও বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন।

একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ঘটনাটিকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটি ১০০ ভাগ আটকানো যেত। এর একটাই অলঙ্ঘনীয় নিয়ম—অপ্রাপ্তবয়স্ক বা লাইসেন্সবিহীন কোনো ব্যক্তিকে কখনোই গাড়ি চালাতে দেওয়া উচিত নয়। গাড়ির চাবি শিশুদের কাছ থেকে নিরাপদে দূরে রাখতে হবে। লাইসেন্সধারী চালকের জন্য নিয়ম হলো, সব সময় ধীরে ধীরে গাড়ি ঘোরানো এবং ভালোভাবে সব লুকিং গ্লাস ও ব্লাইন্ড স্পট পরীক্ষা করা।’

আরেক ব্যবহারকারী মা–বাবাকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই ভিডিও প্রমাণ করেছে যে অলৌকক ঘটনা সত্যিই ঘটে...কিন্তু সব সময় নয়। রাস্তা খেলার জায়গা নয়...মা–বাবার উচিত বাচ্চাদের দিকে সব সময় নজর রাখা।’

অন্য আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটি কীভাবে গাড়ির চাবি পেল? তার মা–বাবাকে কারাগারে পাঠানো উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির
  • কর্মদিবসের শেষ দিনে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
  • প্রশিক্ষকদের দায়িত্বে উদাসীনতাসহ যেসব অসংগতি উঠে এল প্রাথমিক তদন্তে
  • চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
  • চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি