শিক্ষাজীবনে ডিগ্রি পাস করা আছিয়া বেগম (ছদ্মনাম) বর্তমানে গৃহিণী। স্বামী-সন্তান নিয়ে তাঁর সংসারজীবন। স্বামীরা তিন ভাই হলেও গ্রামের বাড়িতে থাকার কারণে শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখার ভার আছিয়ার কাঁধে পড়ে। গত তিন বছর ধরে তাঁর শ্বশুর অসুস্থ। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন।
প্রথম দুই বছর সংসারের কাজ এবং দেখাশোনার কাজ একাই করতেন। এক সময় তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁর জন্য একজন সাহায্যকারী রাখা হয়। তবুও সংসারের বেশির ভাগ কাজ করতে হয় আছিয়াকে।
২০২৩ সালে আছিয়ার শ্বশুর মারা যান। আছিয়া খোঁজ পান ঢাকার কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ কেয়ারগিভিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (বিসিটিটিআই) কেয়ারগিভিং-এর প্রশিক্ষণ এবং জাপানি ভাষা শেখানো হয়। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, এ দুটো কাজ জানা থাকলে তিনি জাপানে চাকরি করতে পারবেন।
আছিয়া বেগমের কাছে কিছু টাকা ছিল। তিনি সে টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তী সময়ে জাপানে উচ্চ বেতনে কাজ পান। গত তিন বছরে শ্বশুরের জন্য বিনা বেতনে ভালোবেসে যে কাজ করেছেন আছিয়া, সেখানে তিনি সম্মান পাননি। সেই একই কাজ এখন দেশের বাইরে গিয়ে করতে পারছেন। সম্মান এবং টাকা দুটোই মিলছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ অনুযায়ী, কৃষিতে নারীর অবদান পুরুষের তুলনায় বেশি। নারীর কৃষি কাজে অবদান ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং পুরুষের ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে, শিল্পকারখানা এবং হোয়াইট কলার কাজে নারীর অবদান শূন্যের কোঠায় না হলেও পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ কম। হোয়াইট কলার কাজ হলো, যারা ডেস্কে কাজ করেন।
পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা কাজ করছেন। তবুও নারীর সম্মান অধরা। অর্থনীতিতে কাঠামোগত কী পরিবর্তন করলে নারীর সম্মান বাড়তে পারে। এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, ‘সম্মানের অনেক স্তর রয়েছে। নারীর সম্মান অবশ্যই বেড়েছে। তবে অর্থনীতিতে নারীর যে পরিমাণ অংশগ্রহণ, সে পরিমাণ সম্মান তারা পান না। তাদের এখন কথা বলার অধিকার হয়েছে। তারা মতামত দিতে পারেন। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কম। অবস্থার পরিবর্তন খুব ক্ষীণ হলেও, পরিবর্তন হচ্ছে। এটি রাতারাতি বেড়ে যাবে, ভাবা ভুল।
নারীর অনেক কাজ এখন জিডিপি এবং জিএসপিতে অবদান রাখছে। যেমন– হস্তশিল্প, কেয়ারগিভার এবং নানা ধরনের কায়িক শ্রমের কাজ। অনেক ক্ষেত্রে নারী রেমিট্যান্সযোদ্ধা হিসেবেও কাজ করছেন। তারা পিছিয়ে পড়ছেন দুটি কাঠামোগত কারণে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, নারী যে পরিমাণ শিক্ষিত সে অনুযায়ী চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। প্রথমত, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা কাঠামোগতভাবে আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। ফলে নারী যোগ্য হলেও যথাযথ কাঠামো না থাকার কারণে তাকে সে সব দায়িত্বে ডুবে যেতে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সমাজে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। যেমন ব্যবসাক্ষেত্রে চাঁদাবাজি বা একজন নারী সহজে যেন দোকান ভাড়া পান এবং নিরাপদে ব্যবসা করার পরিবেশ এগুলো নিশ্চিত করলে নারীর অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড উইমেন স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
বিশ্বব্যাংকের ‘নারী, ব্যবসা ও আইন-২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সমাজে নারীর আয় এখন আর সেকেন্ডারি বিষয় না, এটি অপরিহার্য। শুধু পারিবারিক ও সামাজিক প্রয়োজনে নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও দরকার। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুসারে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৩৪ হাজার বেশি। দেশে সংখ্যায় নারী বেশি হলেও শ্রমক্ষেত্রে সুযোগ কম। অনেক নারী উদ্যোক্তা ব্যবসায় আসছেন। তারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকারও হচ্ছেন। তাদের অনেকেই পড়াশোনায় পিছিয়ে আছেন, মূলধন কম, সহজে ঋণ পাচ্ছেন না, আছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও পারিবারিক চাপ।
অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রবেশ বাড়লেও কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও উপযোগী কাজের পরিবেশের অভাবসহ নানা কারণে নারীরা শ্রমবাজারের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। শহরে নারী ও পুরুষের কাজের অসমতার হার আগের চাইতে বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, কর্মদক্ষ নারীর যতজন শ্রমশক্তিতে থাকার কথা, ততটা নেই।
শহরাঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হারানো নারীর একটা বড় অংশ গ্রামে ফিরে গিয়ে নিম্ন মজুরি বা মজুরি ছাড়াই পরিবারের কৃষি ও গৃহস্থালি কাজে যুক্ত হচ্ছেন। তাদের অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না।
কৃষিক্ষেত্রে শ্রম কম মূল্যায়িত বলে সেখানে নারীর অংশগ্রহণ বেশি। অথচ অসমতা দূর করতে হলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে শিল্প ও সেবা খাতে। নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে লিঙ্গভিত্তিক অসমতা থেকে মুক্তি নাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারী কর্মক্ষেত্রে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে নারী বেশি বৈষ্যমের শিকার হন। একই কাজ নারী করলেও পুরুষের তুলনায় কম পারিশ্রমিক পান।
এ প্রসঙ্গে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য কল্পনা আখতার বলেন, ‘নারী আজ শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কর্মক্ষেত্রে সমানভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। তারা দক্ষতা ও মেধার দিক থেকে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তবুও সমাজে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা এখনও অধরা। কর্মক্ষেত্রে নারীর পরিশ্রমকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না; বরং যৌনতা ও শারীরিক গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হয়। নির্মাণকাজ কিংবা ইটভাটার মতো কঠিন শারীরিক পরিশ্রমে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও নারী পুরুষের তুলনায় কম মজুরি পান, যা স্পষ্টভাবে বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ।’
এ সমস্যার মূল কারণ হলো– দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণতা এবং জেন্ডার সচেতনতার অভাব। নারীর সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যেখানে নারীকে কেবল মেধাবী কর্মী হিসেবে নয়, একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে দেখা হবে। কর্মক্ষেত্রে সমান মজুরি ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও স্বাস্থ্যজনিত প্রয়োজনকে সহানুভূতির সঙ্গে মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে নারী অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি দরকার মনোভাবের পরিবর্তন, তবেই নারীর সম্মান নিশ্চিত হবে।
ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের প্রধান মাসুমা বিল্লাহ বলেন, ‘ছেলেরাও অনেকে শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে। তাদের একজন নারীর থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি আমাদের সমাজের সমস্যা। একটি ছেলে দিনে পাঁচবার সিগারেট খেলে সময় নষ্ট হয় না। অথচ নারী মাসে বিশেষ সময়ে অসুস্থ থাকলে প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষতি হচ্ছে– এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’ v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত করত র পর ব ক জ কর র জন য ব যবস অবদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০
বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী
প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”
শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।
লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।
স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?”
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
ঢাকা/মাসুদ