বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, ছায়া দিচ্ছে
Published: 27th, April 2025 GMT
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে ফুলে ফুলে ভরা কৃষ্ণচূড়া। ফুলে ফুলে লাল হয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছটি সহজেই দৃষ্টি কাড়ছে মানুষের। কেউ বলেন কৃষ্ণচূড়াটি যেন এ প্রান্তরে সৌন্দর্য্যের আগুন ছড়াচ্ছে।
অন্যদিকে প্রখর রোদে তীব্র গরমে অনেক ক্লান্ত পথিকের জন্যই কৃষ্ণচূড়া গাছটি হয়ে উঠছে পরম মমতার আশ্রয়স্থল। অনেকেই এর সুশীতল ছায়ায় জিরিয়ে ক্লান্তি দূর করছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়ায় বসেছিলেন মো.
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. হোসেন মোল্লা লিটন জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৩০ সালে স্থাপিত হলেও একাডেমিক ভবন নির্মাণ হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে। বিদ্যালয়টিকে সৌন্দর্য্যের ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে প্রবেশ দ্বারের এই কৃষ্ণচূড়া। অবশ্য বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটির সামনেও রয়েছে আরও একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ।
বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল হোসেন বলেন, “কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচের অংশ যাতে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা যায় সেটি নিয়ে আমি সবসময়ই কথা বলি। গাছটির সৌন্দর্য্যের কারণে পথিক কিংবা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ সময়েই এখানে বিচরণ করতে দেখি। সঙ্গত কারণে গাছটির নিচে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা জরুরী।”
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “কৃষ্ণচূড়া গাছটি পুরো বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্যটা বাড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখন এই মাঠে খেলতে আসে তখন গাছটির ছায়াতলে এসে ছবিও তোলে। এখানে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টিতে কৃষ্ণচূড়া গাছটি দারুণ ভূমিকা রাখছে।”
ঢাকা/জয়/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দর য য
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি