Samakal:
2025-09-18@03:00:52 GMT

হঠাৎ মুখ বেঁকে গেলে 

Published: 27th, April 2025 GMT

হঠাৎ মুখ বেঁকে গেলে 

অরপা (ছদ্মনাম), বয়স ২৫ বছর। মেডিকেলের মেধাবী ছাত্রী। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ব্রাশ ও ধোয়ার জন্য বেসিনের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক, এ কী! একদিকে চোখ বন্ধ হচ্ছে না। হাঁ করতেই মুখ বেঁকে যাচ্ছে। মুখে পানি নিলে মুখ থেকে পড়ে যাচ্ছে। গাল ফোলাতে পারছেন না। কপাল বা ভ্রু কুঁচকাতে পারছেন না। কী হলো? নিশ্চয়ই ঘাবড়ে গেছেন।

ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ রকম সমস্যায় যদি কেউ পড়েন, তবে বুঝতে হবে আপনার মুখের নার্ভে এমন কোনো সমস্যা হয়েছে, যার ফলে আপনার মুখের মাংসপেশি তার স্বাভাবিক কাজকর্মের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় ফেসিয়াল বা বেল্স পালসি বা মুখ অবশ রোগ নামে খ্যাত।
হঠাৎ করে এ রোগে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে অনেক সময় মাথাব্যথাসহ আক্রান্ত পাশের কানের গোড়ায় ব্যথা হতে পারে। এরপর হঠাৎ করে আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ করতে, কথা বলতে, কপাল কুঁচকাতে বা ওপরে তুলতে, থুথু ফেলতে, পানি পান করতে, খাবার-দাবার চিবাতে অসুবিধাসহ মুখ একদিকে বেঁকে যেতে পারে।

কারণ

ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, মধ্যকর্ণে কোনো ইনফেকশন বা সংক্রমণ হলে, ঠান্ডা বা আঘাতজনিত কারণে, মস্তিষ্কের স্ট্রোক, মাথায় আঘাত পেলে, ফেসিয়াল টিউমার হলে, কানের বা প্যারোটিড গ্রন্থির অস্ত্রোপচারে যদি ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি হয়, ডায়াবেটিস রোগ থাকলে, শ্বাসযন্ত্রের রোগ থাকলে, ঠান্ডা ঘা বা যৌনাঙ্গে হারপিস হলে এমন হতে পারে।

চিকিৎসা

যেহেতু এটি স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্ট মাংসপেশির অবশতা, তাই এর চিকিৎসার মুখ্য ভূমিকা হলো ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা। এ রোগে আক্রান্ত হলে আপনি প্রথমে একজন নিউরো বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো প্রয়োজন বোধে স্টেরয়েড, ভিটামিন এবং তার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় সাধারণত ইলেকট্রিক নার্ভ ইস্টিমুলেশন প্রদাহ কমানোর জন্য আলট্রা সাউন্ড থেরাপিসহ পদ্ধতিগত চিকিৎসা থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ উপকারী। 

এ ছাড়া শক্ত খাবার আক্রান্ত গালে খেতে হবে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়া বা লাগানো এড়িয়ে চলতে হবে। এসব রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে চার থেকে ছয় সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হয়। মনে রাখবেন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ফেসিয়াল প্যারালাইসিস রোগের একমাত্র এবং মূল চিকিৎসা।
লেখক : ফিজিওথেরাপি, ডিজঅ্যাবিলিটিজ ও রিহ্যাবিলিটেশন স্পেশালিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালট্যান্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ