ব্রায়ান লারাকে আনন্দ ফিরিয়ে দিচ্ছেন বৈভব
Published: 29th, April 2025 GMT
ভিডিওটি জয়পুরে গতকাল রাতের ঝড়ের। ব্রায়ান লারা তখন সম্ভবত টিভি সেটের সামনে। বৈভব–ঝড় দেখে কিংবদন্তি হয়তো বুঝেছিলেন, এটাই এক টুকরা ইতিহাস। টিভি থেকে ঝড়ের হাইলাইটসটুকু ভিডিও করতে দেরি করেননি লারা। পরে সেই ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করে লারা যে ক্যাপশন দিয়েছেন, সেটি টাইম মেশিনে চড়িয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের ফিরিয়ে নেবে ১৮ বছর আগে। ব্রিজটাউনে সেদিন বিশ্বকাপের সুপার এইটে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যেটা ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লারার শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুন১৪ বছর বয়সে অন্যরা আইসক্রিম খায়, বৈভব সূর্যবংশী বোলারদের পেটায়৮ ঘণ্টা আগেসেদিন আবেগে ভেসে গিয়েছিল ব্রিজটাউনের গ্যালারি। ভেসে গিয়েছিলেন লারাও। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ধরে আসা গলায় দর্শকদের কাছে লারা শুধু একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলেন, যেটা আসলে তাঁর ক্যারিয়ারেরই সারাংশ, ‘আমি কি মন ভরাতে পেরেছি? যদি পারি তাহলে আমি খুব খুশি।’
বলা বাহুল্য, লারার প্রশ্নের উত্তরে গ্যালারিতে হ্যাঁ–সূচক গর্জনই উঠেছিল।
এখন প্রশ্ন হলো, বৈভব সূর্যবংশী কী বলবেন? পৃথিবীতে অনেক তারকা ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা সারা জীবন খেলেও হয়তো নিজের রোল মডেলের কাছ থেকে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া পান না কিংবা পেলেও, তা ক্যারিয়ারের মাঝপথে অথবা শেষ দিকে। বৈভবের কী কপাল, আইপিএলে নিজের তৃতীয় ম্যাচেই প্রশংসাপত্র পেয়ে গেলেন তাঁর আদর্শ ক্রিকেটারের কাছ থেকে। একটু ভুল হলো, কপাল নয় আসলে সামর্থ্য।
১৪ বছর বয়সী এক ছেলে যদি বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বাঘা বাঘা সব বোলারকে মেরে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন, যদি সেই ইনিংসে ফ্লিক শটগুলো তাঁর আদর্শের ব্যাটিং স্টাইলের সঙ্গেও মিলে যায়, তাহলে মনের ভেতর আবেগের স্ফুরণ ঘটতে পারে। তখন হয়তো ফিরতে ইচ্ছা করে ফেলে আসা দিনগুলোতে। লারারও কি তেমন মনে হয়েছে?
আরও পড়ুন১৪ বছর বয়সী বৈভবের বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল গুজরাট ১৯ ঘণ্টা আগে‘বস বেবি’খ্যাত বৈভব–ঝড়ের হাইলাইটসের ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লারা ক্যাপশনে মিশেল ঘটিয়েছেন তাঁর অতীতের সঙ্গে বৈভবের বর্তমানের, ‘আমি কি মন ভরাতে পেরেছি? তুমি অবশ্যই আমার মন ভরিয়েছ।’
ওহ, বলাই হয়নি। বাঁহাতি বৈভবের আদর্শ কিন্তু ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা।
প্রিন্স অব ত্রিনিদাদের অবসর নেওয়ার চার বছর পর জন্ম বৈভবের, অন্তত তাঁর অফিশিয়াল জন্ম তারিখ সে রকমই। লারার ব্যাটিংটা তাই তাঁকে দেখতে হয়েছে ইউটিউবে। বছরের পর বছর ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির ব্যাটিং দেখে তাঁর দু–একটি শট বৈভব নিজেও আয়ত্ত করেছেন। লারার প্রতি ভালোবাসা বৈভব আগে জানিয়েছেন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে, ‘আমার আদর্শ ব্রায়ান লারা। আমি তাঁর ভিডিও ও ব্যাটিং স্টাইল দেখি। তাঁর অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংসটি ভালোবাসি। অনেকবার আমি এটা দেখেছি। তাঁর যে বিষয়টি সেরা, আমিও সেটা ভালোবাসি, তিনি ম্যাচ মাঝপথে ছেড়ে আসেন না। হাল ছাড়েন না। তাঁর ভেতরে ম্যাচ জেতার মানসিকতা ছিল। আমি এটাই তাঁর কাছ থেকে শিখতে চাই.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আদর শ
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।