যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী সোমবার দেশে ফিরতে পারেন। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনার চেষ্টা চলছে। এজন্য সহযোগিতা চেয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেটা সম্ভব না হলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজের বিজনেস ক্লাসে করে দেশে ফিরতে পারেন। 

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বুধবার সমকালকে বলেন, রোববার ও সোমবার ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে। এখনও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঠিক হয়নি। আমরা অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় আছি। 

৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেসে যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। সেখানে তাঁকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। টানা ১৭দিন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেন। এই হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, লন্ডন ক্লিনিক থেকে খালেদা জিয়াকে পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, তিনি দেশে যেতে পারবেন। তবে চিকিৎসার মধ্যেই থাকতে হবে। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ ডা.

জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান দেশে আসছেন। তিন নাতনির সবাই দেশে আসবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। 

খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা দেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও দীর্ঘ দিন পর দেশে আসছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা। তারেক রহমানের সঙ্গে তিনিও এক এগারো সরকারের সময় লন্ডন চলে যান। 

জানা গেছে, রোজার ঈদের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়, যা চলে কয়েক সপ্তাহ। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। তিনি আগের চেয়ে এখন বেশ ভালো আছেন। 

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তবে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা চিন্তা করে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন করেননি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

না ফেরার দেশে সাংবাদিক সামাদ মতিনের সহধর্মিণী এড. সুরাইয়া মতিন

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জের সদস্য এম. সামাদ মতিনের সহধর্মিণী প্রবীন  সাংবাদিক ও স্বনামধন্য আইনজীবী সুরাইয়া মতিন (৫৪) আর নেই। ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি  রাজিউন)। 

বুধবার (৩০ জুলাই) ভোর রাতে ফতুল্লার নিজ বাস ভবনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সকলের মাঝ থেকে চীর বিদায় নেন। মরহুমার যানাযার নামাজ  বাদ জোহর ফতুল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে  অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা রেল-স্টেশনে এর স্থায়ী বাসিন্দা মৃত হাজী নূরুল ইসলাম এর তৃতীয় কণ্যা সুরাইয়া মতিন এর সহিত ১৯৮৭ সালে ইসলামি বিধান মতে এম সামাদ মতিন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। 

জীবদ্দশায় তিনি দৈনিক খবর, চিত্র বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সততা ও সাহসিকতার সহিত  সাংবাদিকতা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং  নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় দক্ষতা ও  সুনামের সহিত উকালতি করেছেন। 

মৃত্যুকালে স্বামী, তিন কণ্যাসহ অনেক আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী  রেখে যান। মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা  করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না ফেরার দেশে সাংবাদিক সামাদ মতিনের সহধর্মিণী এড. সুরাইয়া মতিন