সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল
Published: 30th, April 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদের মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও গতকাল রাত থেকেই ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এই মাদক সেবনের ভিডিও নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র নীন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
কলেজ পড়ুয়া বিএনপি নেতার মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তবে টিকটক করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তার পরিবারের।
ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা কলোনী বৌ-বাজার এলাকায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই তরুণী নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা হারুণের মেয়ে পূর্বে থেকেইে উশৃংখলভাবে চলাফেরা করে। গত ৫ আগস্টের পর তার মেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ছেলেদের সাথে টিকটক করা, মধ্য রাতে আড্ডা দেয়া থেকে শুরু করে মাদক সেবনও করেন বিএনপি নেতা হারুণের মেয়ে। তার এই উশৃংখলতার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
এদিকে ওই তরুণীর ফেসবুক আইডির সূত্র ধরে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওই তরুণী তার ফেসবুকে একটি কমেন্টস করেছে তা হলো, লুকাইতো ভাবে আমারে না জানাইয়া এই ভিডিও টা করা হইছে।
আর যারা যারা পোস্ট করতাছে শেয়ার করতাছে তারা সবাই আমার সাথে তখন বইসা খাইতাছিলো। তরাই তো করছোস ভিডিও তরাও তো ছিলি বলে দাবি ওই তরুনীর।
এদিকে বিএনপি নেতা হারুনের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এলাকায় বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব কিছুর শেল্টার দিয়ে থাকেন বিএনপি নেতা হারুণ। বিএনপি নেতা হারুণ নিজেও একজন মাদক সেবী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা হারুণ মুঠোফোনে জানান, তার মেয়ে টিকটক করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য বাংলাদেশে এসেছেন। রোববার চার দিনের সফরে গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ ঢাকা পৌঁছান।
প্রায় এক যুগ ধরে গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্স অর ইনভলেন্টারি ডিসাপিয়ারেন্স– ডব্লিউজিইআইডি। ২০১৩ সালের ১২ মার্চ সফরের জন্য প্রথম চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর পর একাধিকবার অনুরোধ করলেও রাখা হয়নি। ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল শেষবার সফরের অনুমতি চেয়েছিল ডব্লিউজিইআইডি। কিন্তু দেয়নি তৎকালীন সরকার।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানালে সাড়া দেয়। এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলো গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ। ১৮ জুন প্রতিনিধি দলের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা যায়, সফরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র সচিব, গুম কমিশনের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া নীতিবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেবেন দুই সদস্য।
ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের এক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, প্রতিনিধি দল এবার গুমের ঘটনা তদন্ত করবে না। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তার ভিত্তিতে সুপারিশ করবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গুমের শিকার ব্যক্তিদের জন্য আন্তর্জাতিক ‘গুম প্রতিরোধ দিবস’-এর এক দিন আগে ৭৬তম দেশ হিসেবে চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গুমবিরোধী সনদ গৃহীত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জাতিসংঘের গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ওপর চাপ ছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে সনদে যুক্ত হওয়া নিয়ে বরাবর অনাগ্রহ দেখিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এ সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে। অর্থাৎ তারা অভ্যন্তরীণ আইনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। আর ভারত শুধু সই করেছে।
ডব্লিউজিইআইডির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও ৭০টি গুমের ঘটনা অনিষ্পত্তি রয়েছে। জাতিসংঘ মোট ৮৮ ব্যক্তির গুমের বিষয়ে প্রকৃত অবস্থা জানতে চেয়েছিল। তাদের মধ্যে পাঁচজন আটক ও ১০ ব্যক্তি মুক্ত অবস্থায় আছেন।