সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদের মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও গতকাল রাত থেকেই ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এই মাদক সেবনের ভিডিও নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র নীন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

কলেজ পড়ুয়া বিএনপি নেতার মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তবে টিকটক করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তার পরিবারের। 

ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা কলোনী বৌ-বাজার এলাকায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই তরুণী নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.

হারুণ অর রশিদের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা হারুণের মেয়ে পূর্বে থেকেইে উশৃংখলভাবে চলাফেরা করে। গত ৫ আগস্টের পর তার মেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

ছেলেদের সাথে টিকটক করা, মধ্য রাতে আড্ডা দেয়া থেকে শুরু করে মাদক সেবনও করেন বিএনপি নেতা হারুণের মেয়ে। তার এই উশৃংখলতার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। 

এদিকে ওই তরুণীর ফেসবুক আইডির সূত্র ধরে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওই তরুণী তার ফেসবুকে একটি কমেন্টস করেছে তা হলো, লুকাইতো ভাবে আমারে না জানাইয়া এই ভিডিও টা করা হইছে।

আর যারা যারা পোস্ট করতাছে শেয়ার করতাছে তারা সবাই আমার সাথে তখন বইসা খাইতাছিলো। তরাই তো করছোস ভিডিও তরাও তো ছিলি বলে দাবি ওই তরুনীর।

এদিকে বিএনপি নেতা হারুনের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এলাকায় বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব কিছুর শেল্টার দিয়ে থাকেন বিএনপি নেতা হারুণ। বিএনপি নেতা হারুণ নিজেও একজন মাদক সেবী। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা হারুণ মুঠোফোনে জানান, তার মেয়ে টিকটক করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ফাঁদ পেতে ধরা হলো প্রেমিককে

পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। 
দশদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে  অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। 

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে। 

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন অনিককে দিয়েছেন। 

মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। সেখান থেকেই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত। 

এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক এই ফাঁদে পা দেন।  

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অনিকে টাকা নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে অনিক ও শারমিন স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। 

শারমিন এ সময় জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ শের আলীকে তিনি খাইয়েছিলেন। এতে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। 

শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করেছে।’’ 

ঢাকা/শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ