ফতুল্লায় জে. আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের বর্ষপূর্তি উদযাপন
Published: 2nd, May 2025 GMT
ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র জে. আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সুস্থতার বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, কেক কাটা, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে জে.
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ সেলিম হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল্লাহ আল মামুন (সুজন) ও আসিফ উল হোসাইন রাব্বী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র বিগত দিনগুলোতে এ যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
মোঃ মনির হোসেন আরো বলেন, জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন কচির সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান, রিকোভারি নাজিম মোহাম্মদ হিমেল, মোঃ কাজল, মোঃ উজ্জল, মোঃ দ্বীন ইসলাম, মোঃ সেলিম, মোহাম্মদ আসিফ ও মোঃ সোহেল প্রমুখ।
এসময় দুই বছর মেয়াদে সুস্থতা লাভ করার জন্য মোঃ দ্বীন ইসলাম ও এক বছর মেয়াদে সুস্থতা লাভ করার জন্য মোঃ উজ্জ্বলকে নিয়ে কেক কাটা ও খেলাধুলার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস