স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান
Published: 3rd, May 2025 GMT
৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সফল প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া অ্যাফেয়ার্স উইং শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও উন্নত কৌশলের বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত পরামিতি যাচাই করা।”
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছ, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং অন্যান্য সামরিক প্রধানরা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার উপর ‘পূর্ণ আস্থা’ প্রকাশ করেছেন।
আইএসপিআর সফল উৎক্ষেপণের একটি ভিডিওও প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন সময় হলো যখন, ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (সিওএএস) জেনারেল আসিম মুনির বলেছিলেন, ভারতের যেকোনো ‘দুরভিসন্ধিমূলক অভিযানের’ জবাব ‘দ্রুত, দৃঢ় এবং কঠোরভাবে’ দেওয়া হবে। পরের দিন, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে ‘নিশ্চিত এবং সিদ্ধান্তমূলক’ জবাব দেওয়া হবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে এক সপ্তাহে ৬৯ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৬৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অবৈধ অস্ত্রধারী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, শিশুপাচারকারী, জুয়াড়ি, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তসহ মোট ৬৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি ম্যাগাজিন,৩টি ককটেল, ২৭টি বিভিন্ন ধরনের গুলি, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ৬২ জেলায় সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে পূজা অর্চনার প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনাক্যাম্পে তথ্য দিতে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।