জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘আনন্দ ভ্রমণ ২০২৫’। বিভাগের শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দিনটি পরিণত হয় উৎসবমুখর এক মিলনমেলায়।

ভ্রমণ কার্যক্রম শুরু হয় শনিবার (৩ মে) সকাল ৮টায় রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে। এরপর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অংশগ্রহণকারীরা বাসযোগে রওনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে। সেখানে সকালের নাস্তার পর আয়োজন করা হয় বিভিন্ন খেলাধুলা ও গ্রুপ ফটোসেশন।

প্রথম পর্ব শেষে সবাই রওনা হন মূল গন্তব্য কেরানীগঞ্জের ‘শরীফ ফুড কোর্ট অ্যান্ড ড্রিম পার্ক’ এর উদ্দেশ্যে। মনোরম পরিবেশে ঘেরা রিসোর্টে পৌঁছে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন সুইমিং, রাইড, দলগত খেলা, মধ্যাহ্নভোজ এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিকেলে ছিল র‌্যাফেল ড্র ও নাস্তার আয়োজন, যা ভ্রমণে যুক্ত করে বাড়তি আনন্দের মাত্রা। দিনব্যাপী এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ, বন্ধন এবং স্মৃতিময় অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে।

এ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান ড.

আশরাফুল আলম।

আনন্দ ভ্রমণ কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসলাম বলেন, “সবার আন্তরিক অংশগ্রহণে এ আয়োজনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে আমরা গভীরভাবে মিস করেছি সেসব প্রিয় মুখ, যারা নানা কারণে অংশ নিতে পারেননি।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ