জাবিতে মাস্টারপ্ল্যানের গুরুত্ব নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা
Published: 4th, May 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বাস্তবতায় মাস্টারপ্ল্যানের গুরুত্ব ও বাস্তবতাবিষয়ক একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ‘জাহাঙ্গীরনগরে মাস্টারপ্ল্যান: অতীত ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ও পরিকল্পনাবিদ আকতার মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মুশফিক উস সালেহীন, মাহাথির মোহাম্মদ, মারিয়াম ছন্দা, শৌমিক বাগচী প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
জাবিতে বই সহজলভ্য করছে ‘গ্রন্থাশ্রম’
জাবি উপ-উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক
সভার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
তিনি বলেন, “মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য আমরা টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি পুনর্গঠন করে টার্মস অব রেফারেন্স, টেন্ডার ডকুমেন্টসসহ সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ইউজিসিতে জমা দিয়ে কত টাকা লাগবে, তা জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো আমরা কোনো ফলাফল পাইনি।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, সরকার এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। প্রায় ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৬৩ কোটি টাকা কমিয়ে দিয়েছে। এই ৬৩ কোটি টাকার মধ্যে শুধু জাহাঙ্গীরনগর ১৯ কোটি টাকা কম পেয়েছে। এটা কেনো করা হলো তা আমার বুঝে আসে না।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ রনগর
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনে মামলার আসামিদের না রাখার দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা মনোনয়ন ও নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ফৌজদারি মামলার আসামিদের না রাখাসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে ৩ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদ।
শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী।
তাদের দাবিগুলো হলো- বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও নির্দিষ্ট দায়িত্ব নিশ্চিত করতে সংশোধিত নীতিমালা ঘোষণা করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল এ দেশের ছাত্ররাজনীতির এক প্রগতিশীল বাঁক। সেই ঐতিহাসিক গণপ্রতিরোধে যারা হামলা চালিয়েছিল, যারা প্রগতি ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সহিংস রূপ নিয়েছিল এবং যারা ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছিল- তাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের প্রতি চরম অপমান। আমরা লক্ষ্য করেছি, সেই সহিংস ঘটনাগুলোর অভিযুক্তদের কেউ কেউ প্রশাসনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগ্রহণ পর্বে অংশ নিয়েছে। আবার ক্যাম্পাসে গর্বভরে পুনরাগমনও করেছে। এই ঘটনা গণতন্ত্রের নামে চরম দ্বিচারিতা এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি অবমাননার শামিল।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণাকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ সাধুবাদ জানাচ্ছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অচলায়তনের অবসানের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে এবং দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের সরাসরি প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি করেছে। জাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ধারা ৩.৪, ৩.৬, ৩.৯, ৩.১০, ৩.১১ ও ৩.১২ বিবেচিত হয়েছে। এই সংস্কারগুলো ছাত্র সংসদকে আরও কার্যকর, অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিমূলক করে তুলবে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গঠনতন্ত্রে এখনও কিছু প্রশ্নবিদ্ধ ও অস্পষ্ট দিক রয়ে গেছে, যা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।