রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমকালের নাটোর প্রতিনিধি নবীউর রহমান পিপলুর দাফন সম্পন্ন
Published: 7th, May 2025 GMT
দৈনিক সমকাল ও একুশে টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আখতার জাহান সাথী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে গাড়ীখানা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে প্রবীণ এই সাংবাদিক ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার সকালে জানাযায় অংশ নেন সমকাল রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি লিমন বাসার, লালপুর প্রতিনিধি আশিকুর রহমান, সিংড়া প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ, গুরুদাশপুর প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চেীধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, নাটোরের তিনটি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন উপজোর সাংবাদিকবৃন্দ। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংবাদিক পিপলুর বন্ধুরা, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ তার জানাযায় অংশগ্রহণ করেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ব্যক্তিজীবনে এই সাংবাদিক নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি নাটোর শহরের আলাইপুর নিবাসী মৃত খন্দকার রশীদুর রহমানের ছেলে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘শীতের রাতে কাঁথা-কম্বল নিয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় আসতাম’
সিডনির ডেনহ্যাম কোর্ট যেন হয়ে গিয়েছিল নব্বইয়ের ঢাকার একটুকরো নাট্যমঞ্চ। উপলক্ষ ছিল একটা আড্ডা। গত রোববার যাতে মেতে উঠেছিলেন বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের কয়েকজন কুশীলব। কেন্দ্রে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়েকে দেখতে সিডনিতে আসা নির্মাতা শিহাব শাহীন, সিডনিতে পরিবার নিয়ে বসবাসরত অভিনেতা মাজনুন মিজান, ‘ঢাকা পদাতিক’-এর একসময়ের প্রধান অভিনেতা জন মার্টিন এবং মঞ্চ ও টেলিভিশন—দুই মাধ্যমে আলো ছড়ানো অভিনেত্রী মৌসুমী মার্টিন। সঙ্গে ছিলেন সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সায়েদ আহমেদ ও স্থানীয় নির্মাতা শিমুল শিকদার।
মঞ্চের সোনালি দিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যজীবনের স্মৃতিচারণা দিয়ে আড্ডা শুরু করলেন জন মার্টিন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষেই “ইন্সপেক্টর জেনারেল” নাটকে কাজ করার সুযোগ পাই। এটা বাংলাদেশের প্রথম স্যাটায়ার মিউজিক্যাল কমেডি।’ বলতে বলতে হঠাৎ নাটকের গানের কয়েকটি লাইন আবৃত্তির ঢঙে উচ্চারণ করে ওঠেন, ‘ও তাঁর ডাইনে বুড়ি, বাঁয়ে কুমারী ছুড়ি, কারে ধরি, কারে রাখি, পড়েছি সেই বিষম বিপাকে...।’ মৌসুমী মার্টিন তখন হেসে বলেন, ‘মঞ্চনাটকের গানে এমনভাবে মন ঢুকে যেত যে আসল গান ভুলে গিয়ে সেই নাটকের গানই মনে থাকত। আজও সেসব সুর কানে বাজে।’