তুরাগে নারী দগ্ধ, কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
Published: 8th, May 2025 GMT
ঢাকার তুরাগে গতকাল রাতে রিজিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী দগ্ধ হয়েছেন। মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় স্বামী কেরোসিন ঢেলে স্ত্রী রিজিয়ার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশীরা।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রিজিয়াকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রিজিয়ার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রিজিয়া বেগম সপরিবার তুরাগের দিয়াবাড়ি গোলচত্বর নার্সারির পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তিনি ফুটপাতে ফুল বিক্রি করেন।
রিজিয়াকে গতকাল রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী রাশিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রিজিয়ার স্বামী অটোরিকশাচালক আবু সাইদ কাজে না গিয়ে স্ত্রীর কাছে মাদক (গাঁজা) সেবনের টাকা চান। এ সময় রিজিয়া কিছু টাকা আবু সাঈদকে দেন। কিন্তু আবু সাঈদ আরও টাকা চান। রিজিয়া রাজি না হওয়ায় আবু সাঈদ তাঁকে মারধর করেন এবং তাঁর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে রিজিয়া দগ্ধ হন।
রিজিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান। তাঁরা তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা রিজিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।